#হলদিয়া: মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোক প্রভাবশীল হওয়ায় মেয়ের খুনের সুবিচার চেয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে ময়না তদন্ত করতে মেয়ের নিথর দেহ নিয়ে এসেছে মা-বাবা ৷ অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রভাব খাটিয়ে খুনের বিষয়টি ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ তাই বাধ্য হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ময়না তদন্তে আনা হয়েছে দেহ ৷
সোমবার সন্ধে নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ এলাকায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম আনু বেগম (১৬)। এই ঘটনায় মৃতার বাপের বাড়ির তরফে দাবি, মেয়েটিকে খুন করেছে তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ।
আনুর পরিবার জানায় তমলুকের শিমুলিয়ার বাসিন্দা নাবালিকা আনু বছর ৫ আগে প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করে দেভোগের বাসিন্দা শেখ সাদ্দামের সঙ্গে।
বিয়ের পর তাঁর একটি পুত্র সন্তানও জন্ম হয়। তবে সাদ্দামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই টাকার দাবিতে মেয়েটির ওপরে অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ ।
মৃতের মা নাজমা বিবির অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই মেয়েটিকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই টাকা দিতে অপারক হওয়ায় মেয়েটির ওপরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়।
এরপর গত সোমবার রাত ৮টায় আনুর মামা শ্বশুর আনুর বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছিল যে তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তড়িঘড়ি ছুটে গিয়েছিলেন মেয়ের মা-বাবা সহ পরিজনেরা ৷ নাজমা বিবির অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আনুর গলায় ছুরি চালানোর দাগও রয়েছে ৷
এই ঘটনায় মৃতের স্বামী শেখ সাদ্দাম, শ্বাশুড়ি, দেওর ও দুই ননদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Midnapur, Haldia, House Wife, Mysterious Death, কাঠগড়ায় স্বামী, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা