#লখনউ: প্রকাশ্য দিবালোকে জার থেকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে ফেলে মা-মেয়ে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সামনের রাস্তায়, যোগী আদিত্যনাথের অফিসের সামনে ঘটে যাওয়া সাংঘাতিক এই ঘটনায় অমেথির তিন পুলিশ আধিকারিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কংগ্রেস নেতা অনুপ পটেল মা সাফিয়া (৫৫) এবং মেয়ে গুড়িয়া গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেয়। এই একই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আরও দুই ব্যক্তি সুলতান, কাদের খান এবং এক মহিলা আসমা-র বিরুদ্ধে। এ দিকে, অমেথির জামো থানার স্টেশন হাউজ অফিসার-সহ তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বরখাস্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে, শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অমেথির পুলিশ সুপার খ্যাতি গর্গ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল ৫.৪০ মিনিট নাগাদ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ-এ বিধাসভার সামনে গাইয়ে আগুন ধয়ে দেন দুই মহিলা। দু’জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। জানা যায়, দুই মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তাঁরা অমেঠি এলাকার বাসিন্দা। লখনউ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সিভিল হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে মায়ের। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। মেয়েরও ডান হাতের অংশ পুড়ে গিয়েছে, তবে তিনি স্থিতিশীল।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ড্রেন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে অশান্তি চলছিল পরিবারের। বাড়িতে কোনও পুরুষ সদস্য না থাকায় প্রতিদিন প্রতিবেশীরা তাঁদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিল। ৯ মে থেকে এই সমস্যা চলছে তাঁদের সঙ্গে। মা-মেয়ের অভিযোগ, পুলিশকে বার বার ঘটনার কথা জানানো হলেও, তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি। এমনকি কংগ্রেস নেতা অনুপ পটেলের কাছেও তাঁরা গিয়েছিলেন সাহায্যের জন্য। কিন্তু সেখানে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা বিধানসভার সামনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ দিনের ঘটনাকে কেন্দ্রও করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। মায়াবতী থেকে অখিলেশ যাদব, যোগী সরকারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। এই ঘটনার পর অমেঠির পুলিশ সুপার খ্যাতি গর্গ জানিয়েছেন, স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ও ২ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুরো ঘটনার কারা কারা দোষী খতিয়ে দেখা হচ্ছে।