#নয়া দিল্লি: রাশিয়ার গবেষক পেট্র শুমাকভের দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়াল নতুন করে। তিনি দাবি করেছেন, চিনের ইউহানের ভাইরাস ল্যাবে করোনা নিয়ে হঠকারি কাজকর্ম করেছে চিন। শেষ ১০ বছর ধরে চিনের ল্যাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। তাঁদের হাত ধরেই চিনে বারবার রূপ পাল্টে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের। শেষ পর্যন্ত তাঁদের গবেষণাতেই এমন রূপ পাল্টেছে ভাইরাস যে সে মানুষকে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়ে উঠেছে। HIV প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করতে গিয়েই এভাবে মানব সভ্যতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে চিন।
স্বভাবতই তাঁর দাবিতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাহলে কি চিনের গবেষকদের কারণেই এমন মারণ রূপ ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস? প্রশ্ন উঠেছে এই মন্তব্যের পরে। যদিও চিন ইচ্ছা করে এই কাজ করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র ভাইরাসকে কীভাবে কাজে লাগান যায়, তা নিয়েই গবেষণা করা হয়েছে ল্যাবে।
সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, এই গবেষণা করতে গিয়ে নানারকম হঠকারী কাজ করেছেন ইউহানের গবেষকরা। তাঁরা একাধিক জিনে তাঁরা এটিকে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েছে। যার ফলে মানুষের শরীরকে আক্রান্ত করার মতো শক্তি জুটিয়ে ফেলেছে করোনা ভাইরাস। কারণ, এভাবে ‘জিনোম’–এ প্রবেশ করানোর ফলে ভাইরাসে অনেক নতুন নতুন অংশ যুক্ত হয়েছে যা মানুষের শরীরে কার্যকর হতে সক্ষম। এই দিনটিই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার চিনে করোনা গবেষণার কুপ্রভাব নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই।
এর আগে নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্টেগেইনার দাবি করেছিলেন, এই ভাইরাস আসলে কোনও ল্যাব থেকে এসেছে। HIV প্রতিষেধক তৈরির কাজে এটিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাঁর প্রমাণ পাওয়া যায় করোনা ভাইরাস বিশ্লেষণ করলেই। কারণ, এই ভাইরাসের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে HIV–এর সন্ধান, পাওয়া গিয়েছে ম্যালেরিয়ার ভাইরাসও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China, Coronavirus, Wuhanlab