#অশোকনগর: সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীর প্রকোপে জর্জরিত। বাদ নেই ভারত। পশ্চিমবঙ্গেও ধনী-গরীব এবং বাচ্চারাও অর্থ দান করছেন করোনা প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে।
এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করলেন বাড়ি বাড়ি কাজ করা এক পরিচারিকা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার ১/৩ রবীন্দ্রপল্লী এলাকার বাসিন্দা তানিয়া দাস । তিনি দীর্ঘদিন মানুষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। স্বামী তুষার দাস, ভ্যান চালান। এভাবেই সংসার চলে তাঁদের। তানিয়াদেবীর দুই মেয়ে। তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী অনুষ্ঠান করে বিয়েও দিয়েছেন। তানিয়া দাসের কথায় অতি কষ্টে, কোনওরকমে সংসার চালান দু’জনে। এ মাসের শুরুতেই রেশন থেকে চাল তুলেছেন। ছোট মেয়ে আর তাদের স্বামী স্ত্রী মিলিয়ে পাঁচ কেজি চাল পেয়েছেন। লক ডাউন শুরু থেকে ঠায় স্বামীর ভ্যান উঠানে তালা মারা।
স্বামীর রোজগার এক প্রকার বন্ধ এখন। প্রতিবেশীর রান্না ও অন্যান্য কাজের জন্য প্রতি মাসে ২০০০ হাজার টাকা আয় করেন তানিয়া দাস।এ মাসের মাইন তিনি পেয়েছেন। কিন্তু করোনা মহামারী বিশ্বকে গ্রাস করছে। মানুষের বিপদকে তিনি মরমে অনুভব করেন।কারণ হিসাবে তানিয়ার দাবি আজন্ম দারিদ্রকে চ্যালেঞ্জ করেই এই বয়সে পৌছেছেন। তাই বিপদগ্রস্ত্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দানের সিদ্ধান্ত তাঁরা।
নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। কিন্তুু চেকের সুবিধা নেই সেই অ্যাকাউন্টে। তাই আজ, বুধবার দুপরে অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অয়ন চক্রবর্তীর হাতে নগদ ১০০০ টাকা তুলে দেন তানিয়া দাস। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করার পর তানিয়া দাবি জানায়, ‘‘ছোটবেলা থেকেই খুব কষ্টে বড় হয়েছি। আমি কষ্ট করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি।এখন আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনের সংসার। লোকের বাড়ি কাজ করে করে যেটুকু অর্থ জমিয়েছি, তার ভেতর থেকে এই ক্ষুদ্র অর্থটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে দান করতে পেরে ভাল লাগছে।’’
তানিয়া ও তার স্বামী তুষার দাসের কথায় এভাবেই সবাই মিলে এগিয়ে এলে করোনাকে হারানো শুধু সময়ের অপেক্ষা।
Rajarshi Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus