#কলকাতা: চড়া রোদ হোক বা ভরা বর্ষা। ওদের ছুটি নেই। আমার আপনার সবার স্বার্থে বছরভর কর্তব্যের বেড়াজালে শহরের রাস্তায় ওদের ঠিকানা। দেশজুড়ে লকডাউনে ঘরবন্দি আমি-আপনি। কিন্তু ওরা আছেন ওদের মতো করে। কর্তব্যে অবিচল। কাজ করে চলেন নিরন্তরভাবে।
লকডাউনের নিঝুম শহরের রাজপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কর্তব্য পালন। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে হাসিমুখে শামিল জনসেবায়। পুলিশের কাজটাই এমন। টালা থেকে টালিগঞ্জ। ছবিটা বদলায় না। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশদের জন্য সামান্য জল খাবার নিয়ে বেরিয়েছিলেন এই শহরেরই কয়েকজন মা, বোন, দিদিরা। সিঁথির মোড়, চিড়িয়ামোড়, ডানলপের রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশের হাতে তুলে দিলেন চা, জল আর সামান্য কিছু খাবার-দাবার।
দক্ষিণেশ্বরের রুপা সেন, জয়া সেনরা বলছিলেন,"আমরা তো ঘরে আছি। কিন্তু ওরা আমাদের জন্যই রাস্তায় চড়া রোদ্দুরে। চা, জলটুকুও যদি ওদের হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটাই তৃপ্তি।"
কল্লোলিনি কলকাতা। সিটি অফ জয়। এই শহরের কোণায় কোণায় মরমের ছোঁয়া। প্রাণের স্পন্দন। বিপদের দিনে মানবিক এই শহর জেগে থাকে অষ্টপ্রহর। তাই তো বৈশাখের গনগনে আচে ঘরের ছায়া থেকে বেরিয়ে পথে নামেন এই শহরের বোন, দিদিরা।
বেলঘড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের ওসি রঞ্জন রুদ্র বলছিলেন, "আমাদের কাজটাই এমন। মানুষের সেবার জন্য ঘর, পরিবার ছেড়ে থাকতে হয় আমাদের। কিন্তু এই শহরে যে স্নেহ-ভালবাসা, দরদ এখনও বেঁচে রয়েছে সেটা আরও একবার টের পেলাম।"
এটাই বোধ হয় কলকাতা। প্রানের শহর। স্পন্দনের শহর। এখানে ঘটি-বাঙালের ঝগড়া রয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে অহরহ মেতে থাকা আছে। রাজনৈতিক তরজা আছে। চায়ের কাপে তুফান রয়েছে। আবার সব ছাপিয়ে স্নেহ, ভালবাসায় মুড়ে দেওয়া আছে। আমাদের শহর কলকাতা। এখানে পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ভালোবাসার আগল, আত্মীয়তার বন্ধন, বন্ধুতার ছোঁয়া।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Coronavirus in India