#নয়াদিল্লি: মারাত্মক অবস্থা চারিদিকে । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে আমাদের দেশের বুকে । এখন দেশ জুড়ে শুধুই হাহাকার, কষ্ট, যন্ত্রণা, আর্তনাদ, স্বজন হারানোর ব্যথা, একটু শ্বাসবায়ুর জন্য আর্তি । যেন চোখে দেখা যায় না এ দৃশ্য । হাসপাতালে বেড নেই, পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন নেই, অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করছেন সাধারণ মানুষ । করোনার নতুন এই স্ট্রেনটি একেবারে দ্বিগুণ শক্তি সঞ্চয় করে ফিরে এসেছে । ড্রবল, ট্রিপল মিউট্যান্ট স্ট্রেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা দেশে। যার জেরে প্রত্যেকদিনই নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে ভারত । টানা সাত দিন দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লক্ষ । গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষ । মৃত্যু হয়েছে ৩,২৮৫ জনের । করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৩৭ জন। পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ৷
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখন রাজধানী দিল্লির । কাতারে কাতারে মানুষ মারা যাচ্ছে বিনা চিকিৎসায় । এমনই এক হৃদয়বিদারক দৃষ্য এ দিন দেখা গেল দিল্লির রাস্তায় । ২৮ বছরের এক যুবক ফুটপাতের উপর বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন । করোনা হাসপাতালের বাইরে একটি অটো নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি । অটোয় ছিলেন তাঁর অসুস্থ মা । ওই যুবক নিজের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন মায়ের যাতে নূন্যতম চিকিৎসা হয় । কিন্তু অটোর মধ্যে পড়ে থাকতে থাকতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ওই মহিলা । মঙ্গলবার সকালে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টারে মা’কে শেষবারের জন্য নিয়ে এসেছিলেন তিনি । কিন্তু একবারের জন্যও গেটই খোলেনি সেই হাসপাতাল ।
অসহায় ছেলে মুকুল ভ্যাস বলছেন, ‘‘ওঁরা আমার মা’কে মেরে ফেলল । কত কাঁদলাম মা’কে একবার দেখার জন্য । আমাকে সব ফর্ম্যালিটি পূরণ করতে বলল আগে । ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এই সব করতে করতে আমার মা চলেই গেল ।’’ মুকুলকে বলা হয়েছিল কিরণ দেবী (৫২)-কে ভর্তি করাতে হলে ডিএসও (district surveillance officer)-এর অনুমতিপত্র লাগবে । সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়া মুকুল বলেন, ‘‘যখন কেউ মারা যাচ্ছেন, তখন সত্যিই কি ১০০টা নিয়ম মানার সময় থাকে? বিনা চিকিৎসায় আমার মা মারা গেলেন ।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Delhi