#ভাতার: করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। জ্বর সর্দি কাশি হলেই বাসিন্দারা এখন করোনা পরীক্ষা করাতে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেকের মধ্যেই সচেতনতার অভাবে দেখা যাচ্ছে। কোনও রকম সাবধানতা অবলম্বন করছেন না অনেকেই। করোনার নমুনা জমা দিতে গিয়েও অনেকেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা মাথায় রাখছেন না। রীতিমতো গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দীর্ঘক্ষন বসে থেকে লালারসের নমুনা জমা দিচ্ছেন তারা। এমনই অসচেতনতার ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
এই হাসপাতালে সকাল থেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে ভিড় করছেন বাসিন্দারা। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের সামনে বাসিন্দাদের দীর্ঘ লাইন। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে বসে থাকছেন পুরুষ মহিলা উভয়েই। এই ছবি দেখে চোখ কপালে তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এই বর্ষার মরশুমে অনেকেরই জ্বর সর্দি-কাশি হতেই পারে। তাই জ্বর সর্দি হওয়া মানেই করোনা সংক্রমণ ধরে নেওয়া ঠিক নয়। তবুও সেইসব উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বাসিন্দারা করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা জমা দিতে আসছেন এটা একটা খুবই ভালো দিক। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে এই মুহূর্তে যে সাবধানতা নেওয়া জরুরি তা এখানে দেখা যাচ্ছে না। নমুনা জমা দিতে আসা বাসিন্দাদের মধ্যে কারও কারও দেহে করোনার সংক্রমণ থাকতেই পারে। তাই এইরকমভাবে সমজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দাঁড়ানোর ফলে এক দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে অন্য অনেকের দেহে। তাদের মধ্য দিয়ে আবার সংক্রমণ ছড়াবে আরও অনেকের দেহে। তাই লালা রসের নমুনা জমা দিতে এসে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
আগে শুধু বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কালনা এবং কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় এখন অনেক গ্রামীণ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হচ্ছে। তেমনই ভাতার হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক বাসিন্দা ভিড় করছেন। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গ্রামের দরিদ্র বাসিন্দাদের মধ্যে এখনও সকেতনতার অভাব রয়েছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের উচিত নমুনা গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে যাতে সবাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে পারেন তা নিশ্চিত করা।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, East Bardhaman