এই মুহূর্তে বিশ্বের জনসংখ্যা হল ৭.৬ বিলিয়ন। অনুমান করা হচ্ছে এর ১০% অর্থাৎ ৭৬০ মিলিয়ন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন খুব তাড়াতাড়ি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে অনুমান করেছিল যে বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা হবে ৩৫ মিলিয়ন। সেটা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর আপৎকালীন বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন যে আগামী দিনে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০% করোনায় আক্রান্ত হবে। এই অনুপাত যা অনুমান করা হয়েছিল তার চেয়ে অন্তত ২০ গুণ বেশি। অর্থাৎ উৎসবের আমেজে গা ভাসানোর আগে খেয়াল রাখবেন যে ভবিষ্যৎ আরও কঠিন হতে চলেছে।
কোভিড ১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩৪ জন সদস্য ডেকে একটি বিশেষ মিটিং করেছে বলে জানাচ্ছে খবর। সেখানে ডক্টর মাইকেল রায়ান বলেছেন, গ্রাম থেকে শহরে হয়তো কোভিড রোগীর সংখ্যা আলাদা হবে। হয়তো বিভিন্ন বয়সের মানুষকে এটি আক্রমণ করবে। কিন্তু দিনের শেষে ব্যাপারটা একই। বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষ একটা ঝুঁকির মুখে আছে, বলেন তিনি। রায়ান এও বলেন যে অতিমারীর স্বভাবই হল প্রসারিত হওয়া আর সেটা হবেও। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে তৎপর থাকতে হবে।
রায়ান সবাইকে জানিয়েছেন যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এই মুহূর্তে তীব্র সংক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। ইউরোপ এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরেও একই অবস্থা। তবে তুলনায় আফ্রিকা ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের অবস্থা কিছুটা হলেও ভাল।
একটি বিশেষ একজিকিউটিভ বোর্ড, যারা এই অতিমারি আটকাতে অর্থ লগ্নি করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে রায়ান বলেন যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০% জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হবেন। ভাইরাস আরও ছড়াবে। বিশ্বের বহু দেশে দ্রুত বাড়বে রোগীর সংখ্যা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই নিয়ে মে মাসে একটি আলোচনা সভা হয়েছিল। হু-কে বলা হয়েছিল অতিমারী কী ভাবে ছড়াচ্ছে সেই বিষয়ে নজর রাখতে। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই বলে রেখেছিলেন যে পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া রোগীর সংখ্যা আর প্রকৃত রোগীর সংখ্যার মধ্যে অনেক ফারাক আছে। কেন না সব খবর প্রকাশ্যে আসছে না। তাই সতর্ক থাকুন!
Written By: Doyel