#ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ভয়াবহ তথ্য দিচ্ছেন। তবে এ প্রসঙ্গে যা বক্তব্য, তা একটু পরেই না হয় বলা যাবে। সবার আগে এই কনট্যাক্ট ট্রেসিং জিনিসটা কী, তা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়!
কনট্যাক্ট ট্রেসিং হল ছোঁয়াচে অসুখের সঙ্গে লড়াই করার এক বাস্তবসম্মত পন্থা। ধরে নেওয়া যাক, অমুকবাবু আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড ১৯ রোগে। তা, যত দিনে পরীক্ষা করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে এবং অমুকবাবুকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আইসোলেশনে, তত দিনে তো আরও অনেকের রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাও আবার ওই অমুকবাবুর থেকেই! কারণ রোগ ধরা পড়ার আগে তাঁর সামাজিক গতায়াত এবং মেলামেশা- দুই বজায় ছিল। ফলে এ বার দেখতে হবে অমুকবাবুকে জেরা করে- সম্প্রতি তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন আর কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে তালিকা- কারা এসেছেন এই কয়েক দিনে তাঁর ৬ ফুটের কাছাকাছি। এর পর সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সচেতন করার কাজ চলবে, পাশাপাশি উদ্যোগ নেওয়া হবে তাঁদেরও পরীক্ষার।
তা, অমুকবাবুর সংস্পর্শে আসা কারও যদি কোভিড ১৯ ধরা পড়ে? সে ক্ষেত্রে সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটিকে ধরে শুরু হবে খোঁজখবর। এই পদ্ধতিকেই বলা হয় কনট্যাক্ট বা সংস্পর্শের ট্রেসিং অর্থাৎ তল্লাশি!
মুশকিল হল, জনবহুল দেশে এই কাজ করে ওঠা মুখের কথা নয়। তা সে যতই বাস্তবসম্মত হোক না কেন! কেন না, এই যে ধীরে ধীরে শুরু হয়ে গিয়েছে আনলকের প্রক্রিয়া, তাতে করে তো মানুষের গতায়াতের পরিধি বাড়ছে। ফলে লকডাউনের সময়ে যা তাও বা সম্ভব ছিল, এখন পরিস্থিতি একেবারে বিশ বাঁও জলে!
সে জন্যেই আনলকের দিনে কপাল চাপড়াচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি- অটোমেটেড মেসেজ মারফত কোনও কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকজনদের তাঁরা সচেতন তো করছেন বটেই, কিন্তু উল্টো দিক থেকে তেমন সাড়া মিলছে না। অনেকেই আইসোলেশনে যাওয়ার আতঙ্কে যোগাযোগ করছেন না, ফলে ক্রমশ দুরূহ হয়ে পড়ছে করোনার সঙ্গে লড়াই করা!
বিষয়টা কিন্তু আদতে দুশ্চিন্তার! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই যদি এই হাল হয়, তবে না জানি অসচেতন জনসংখ্যাবহুল তৃতীয় বিশ্বে কী চলছে!
Written By: Anirban Chaudhury
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19