#কলকাতা: চিনের নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশের একের পর এক রাজ্যে নতুন করে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক দানা বাঁধছে। পশ্চিমবঙ্গে গত ক'দিন ধরে এই করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সোমবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসে। দমদম বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ৯ জন চিকিৎসকের সঙ্গে তারা আলাদা করে কথা বলেন ৷ বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার খতিয়ে দেখা হয়। বিমানবন্দরের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন। মঙ্গলবার সকালেই তারা সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবন যান। স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তারা বিস্তারিত বৈঠক করেন। ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে,তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এরপর তারা রাজ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একমাত্র নোডাল হসপিটাল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যান। সেখানে সুপার, মেডিকেল অফিসার সহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তারা বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ টিমের অন্যতম সদস্য রমারঞ্জন পতি জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর পরিকাঠামোগত যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। রাজ্য অত্যন্ত ভাল কাজ করেছে। বিস্তারিত রিপোর্ট তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে জমা দেবে।
প্রসঙ্গত নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আগে থেকেই বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে দুটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়। যদিও চিন থেকে সদ্য ফেরা বাঘাযতীন এর বাসিন্দা এক মহিলা ও তার পরিবার অভিযোগ করেছিল যে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে অবস্থা ভয়াবহ। আইসোলেশন ওয়ার্ডের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। যদিও সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিদল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখে সন্তোষজনক মনোভাব পোষণ করেন।
অন্যদিকে নেপালে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যাওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গের নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি, পশুপতি নগর এবং মিরিকের সিমন অঞ্চলে বিশেষ হেলথ চেকপোস্ট তৈরি করা হয়। যেখানে চিকিৎসক,নার্স,অ্যাম্বুলেন্সসহ কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়।সোমবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এক চীনা মহিলার ভর্তি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। যদিও পরে জানানো হয়, ওই চীনা মহিলার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নেই। তাকে মঙ্গলবার দুপুরেই আইডি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে সোমবারই ইএম বাইপাসের রুবি হাসপাতাল থাইল্যান্ডের এক তরুণীর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুর ঘটনাতে শোরগোল পড়ে যায়। এই মহিলার স্বয়াব পরীক্ষার জন্য পুনেতে পাঠানো হয়েছে তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রাথমিক ভাবে জানাচ্ছে, এই মহিলা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন।মানুষ যেন অযথা আতঙ্কিত না হয়,বরং সচেতন থাকে।
Abhijit Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus