#বর্ধমান: রাত পোহালেই খুলবে স্কুল। প্রতি ক্লাসে থাকবে একজন করে কোভিড মনিটর। পড়ুয়াদের মধ্য থেকেই একজন সেই মনিটরের কাজ করবে। প্রতিটি পড়ুয়াকে মাস্ক বা ফেস কভারে মুখ ঢেকে আসতে হবে। স্কুলের জল আপাতত খাওয়া যাবেনা।বাড়ি থেকে আনতে হবে ওয়াটার বটল। দূরত্ব বিধি মেনে ক্লাসে বসতে হবে। প্রতিটি পড়ুয়ার মধ্যে ছ ফুটের দূরত্ব রাখতে হবে। স্কুলে ঢোকার সময় থার্মাল গানে পড়ুয়াদের দেহের তাপমাত্রা মাপতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে মিলবে স্কুলে ঢোকার অনুমতি। টিফিন পিরিওড বা ক্লাসের ফাঁকে স্কুল মাঠে খেলার সুযোগ আপাতত মিলছে না। একসঙ্গে বসে গল্পও করা যাবে না। গাইড লাইনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তেমনটাই। তা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের বাড়তি নজরদারি করতেও বলা হয়েছে।
এই গাইডলাইন মেনে আগামীকাল শুক্রবার থেকে নিউ নরমালে স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হতে চলেছে। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্যই খুলছে স্কুল। ইতিমধ্যেই জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে সরকারের গাইড লাইন স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছে জেলা শিক্ষা দপ্তর। নির্দেশ মেনে স্কুলগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। স্কুলগুলি পঠন পাঠন শুরু করার জন্য কতটা প্রস্তুত তা এদিন জেলা শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেন।
বড় স্কুলগুলি দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে কিছুটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এখানে এক একটি ক্লাসের একাধিক শ্রেণি রয়েছে। সেইসব শ্রেণীতে আবার ষাট সত্তর জন করে পড়ুয়া রয়েছে। দূরত্ব দূরত্ব বিধি মেনে চলার জন্য কুড়ি জনের বেশি পড়ুয়াকে একসঙ্গে একটি ঘরে রাখা সম্ভব নয়। এখন আলাদা আলাদাভাবে ক্লাস করাতে গেলে যে সংখ্যক শিক্ষকের প্রয়োজন তা অনেক স্কুলেরই নেই। তাই এই সমস্যাটি ভাবাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, এতদিন পর স্কুল খুলছে এটাই অনেক বড় পাওনা। এতদিন অনলাইনে ক্লাস হলেও তা যথেষ্ট ছিল না। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। অনলাইনে শুধুমাত্র শিক্ষকরা পড়িয়ে যাচ্ছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নোত্তর চালানো হলেও তাও যথেষ্ট ছিল না। ক্লাসরুমে সেই সব সমস্যা কাটানো যাবে। অবশেষে স্কুল খুলতে চলায় খুশি অভিভাবকরাও।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus