#কলকাতাঃ করোনা ভাইরাসের জেরে গৃহবন্দি দেশবাসী। সেই অবসরেই লাফিয়ে বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা। পরিসংখ্যানের গ্রাফ এই মুহূর্তে যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী। জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ছে। দেশের অন্যান্য পাশাপাশি এ রাজ্যেও বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা।
সোমবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বহু মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। তাঁদের মধ্যে অনেকে মানসিক, অনেকে শারীরিক আবার অনেকে মানসিক এবং শারীরিক দু'ভাবেই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের দ্বারা নিগৃহীত।"
মার্চের শেষদিক থেকে লকডাউন শুরু হয়। আর এপ্রিলের শুরু থেকে হিংসার ঘটনা বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লকডাউন চলাকালীন কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০টি গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। তবে সব ঘটনাই যে লকডাউন শুরুর পরে ঘটতে শুরু করেছে এমন নয়। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নথিভক্ত বহু ঘটনা পুরনো। অর্থাৎ বাড়ির মহিলা সদস্য বহুদিন ধরেই কোনও না কোনওভাবে নিগৃহীত। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেই অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়েছে। অনেকক্ষেত্রে আগে শুধুমাত্র মানসিক নিগ্রহের মধ্যে বিষয়টা সীমাবদ্ধ থাকলে, লকডাউনে তার সঙ্গে যোগ হয়েছে শারীরিক নিগ্রহ বা হেনস্থার মতো ঘটনা।
উল্লেখযোগ্য হল, মূলত হিংসার শিকার হচ্ছেন গৃহবধূরাই। তবে, চেয়ারপার্সন জানান, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগ জানানোর জন্য কমিশনের একটা ফোন নম্বর সবসময়ের জন্য দেওয়া থাকে। সেখানে ফোন করে অভিযোগ জানান অনেকে। কিন্তু, এমনও অনেকে রয়েছেন হয়তো বিভিন্ন কারণে তাঁরা আমাদের জানাতে পারছেন না সমস্যার কথা।"
কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, "লকডাউন শুরুর আগে যে প্রমাণ অভিযোগ জমা পড়ত, সেই সংখ্যাটা একধাক্কায় বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। মহিলারা ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেইলের মাধ্যমে তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করছেন।" কমিশন সূত্রে খবর, জমা পড়া অভিযোগের শুনানি হবে সোমবার থেকে। পাশাপাশি যাঁদের কাউন্সেলিং প্রয়োজন তাঁদের এদিন থেকেই ফোনে কাউন্সেলিং শুরু হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।