#কলকাতাঃ গ্রাহকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলেই পড়তে হবে শাস্তির মুখে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। অভিযোগ রেশন ডিলারের পরিবারের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রেশন ডিলারের খারাপ আচরণের জেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। খাদ্য দফতরের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে রাজ্যের কোনও প্রান্ত থেকে যদি এমন অভিযোগ আসে তাহলে সেই ডিলারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই জেলাওয়ারি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেখানে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগণায় সব চেয়ে বেশি শো-কজের ঘটনা ঘটেছে। খাদ্যমন্ত্রীর নিজের জেলায় ৪২ জন রেশন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। পিছিয়ে নেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা। সেখানে শো-কজ করা হয়েছে ৩৪ জনকে। তারপর আছে নদিয়া। সেখানে ৩৩ জন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় শো-কজ করা হয়েছে ২৯ জনকে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় শো-কজ করা হয়েছে ২৪ জনকে। পূর্ব মেদিনীপুর ১৭ জন রেশন ডিলারকে। রেশন নিয়ে সবচেয়ে কম অভিযোগ এসেছে ঝাড়গ্রাম থেকে। এখানে মাত্র ১ জন রেশন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। হাওড়ায় ৫ ও কালিম্পং জেলায় ৬ রেশন ডিলারকে শো-কজ করেছে প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি রেশন ডিলার সাসপেন্ড হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানের ৮ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬ জন করে রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কলকাতা, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং ও ঝাড়গ্রাম জেলায় কাউকে সাসপেন্ড করতে হয়নি। জরিমান আদায় হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে। ১০ জনের থেকে জরিমানা আদায় হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় ৬ রেশন ডিলারের থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১০ রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই ২৪ পরগণায় দু'জন করে ডিলার ছাড়াও জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া জেলায় একজন করে ডিলার গ্রেফতার হয়েছে। অশান্তি পাকানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনকে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, "যাদের শো-কজ করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারাপ ব্যবহারের। একই অভিযোগ বারবার এসেছে অনেকের বিরুদ্ধে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দফতর তাঁদের সরিয়ে দেবে।" ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় আধিকারিকদের নামানো হয়েছে পরিস্থিতি দেখার জন্য।
ABIR GHOSHAL