#পশ্চিম মেদীনিপুর: রাজ্যে করোনার প্রকোট বেশ ভয়াল! কলকাতা, তেহট্ট, বরাহনগর, হাওড়া, উত্তরবঙ্গের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে মিলল করোনা আক্রান্তের খোঁজ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত দাসপুরের যুবক।
করোনা আক্রান্ত যুবক মুম্বইয়ের মসজিদ বন্দর এলাকায় সোনার কাজ করতেন। আক্রান্ত যুবক-সহ আরও ৩ সহকর্মী একসঙ্গেই বাড়ি ফিরেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। গত ২০ মার্চ, শুক্রবার রাত্রে মুম্বই লোকমান্য তিলক ট্রেনে চেপে রওনা দেন তাঁরা। ২২ তারিখ এসে পৌঁছান খড়্গপুরে। সেখান থেকে গাড়ি করে ৪ জনই নামেন দাসপুরের গৌরা বাস স্ট্যান্ডে। সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আক্রান্তের বাবা-সহ আরও একজন। এরপর দুটো বাইকে চারজন বাড়ি ফেরে বলে পরিবার সূত্রে খবর।
২৬ মার্চ অসুস্থ বোধ করতে থাকেন দাসপুরের ওই যুবক। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। সেখান থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৮ মার্চ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেন। মেদিনীপুর মেডিক্যালে আক্রান্ত যুবকের লালারস সংগ্রহ করে কলকাতা বেলেঘাটা আইডি হসপিটালে পাঠানো হয়। রিপোর্টে করোনা পজেটিভ মেলে।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত যুবককে বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে আসা হয়েছে। যুবকের সঙ্গে মুম্বই থেকে ফেরা ৩ সহকর্মীর খোঁজ চালাচ্ছে দাসপুর থানার পুলিশ। যুবকের মা, স্ত্রী, বাবা, জ্যেঠু-সহ বাড়ির ৬ সদস্যকে দাসপুরহাট সরবেড়িয়া কেসি রায় হাই স্কুলের কোয়ারেনটাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের বাবার লালা রস সংগ্রহ করে কলকাতা আইডি হসপিটালে পাঠানো হয়েছে বলে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর। দাসপুরের ওই গ্রামটিকে সম্পূর্ণভাবে সিল করে দেয়া হয়েছে। বাড়িতে থাকাকালীন যুবক কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৬, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তৃতীয় মৃত ব্যক্তি প্রাণ হারান হাওড়া হাসপাতালে ৷ তবে মৃত্যুর আগে তিনি করোনা আক্রান্ত এই খবর নিশ্চিত হয়নি ৷ সোমবার রাতে SSKM-এ লালারসের পরীক্ষার জন্য আসে৷ ভারতেজোড়াল থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ১২৫৫ । মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩। গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে কেরল, ২০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৮। মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে আক্রান্ত একই পরিবারের ৩ জন, এলাকা সিল করেছে পুলিশ। ওই পরিবাররে সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদেরও খোঁজ চলছে। তবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে, মৃতের সংখ্যা ৮। অন্য দিকে, কর্নাটকে ৮৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭৫ জন।