#শিলং: সঞ্চয় ফুরিয়েছে। সহায় সম্বল বলতে একটা ভাঙা স্কুটার। সেটাও আবার সেকেন্ড হ্যান্ড। তাকে আশ্রয় করেই এখন জীবন যুদ্ধ চালাচ্ছেন তিনি। বেঁচে থাকার, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন এই আকালেও। শিলংয়ের মহিলা কেন্তিউইম খারবুলির সেই লড়াই এখন সংবাদ শিরোনামে।
শিলংয়ের অন্যতম পুরনো বাজার লেদু মার্কেট। বাজারে প্রবেশ করলেই আগে দেখা যেত পসরা সাজিয়ে বসে আছেন তিনি। কিন্তু এখন তাঁর দেখা মিলবে বাজারের বাইরে। সেখানেই কেন্তিউইম হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকেন স্কুটার নিয়ে। স্কুটারে থরে থরে সাজানো পান পাতা, আমলকি, আরও নানা জিনিস। একবার দেখে ভ্রম হবে বাজারই। ভুল ভাঙবে সামনে গেলেই। প্রতিদিন এই পসরা খালি করে বাড়ি যাওয়াটাই লক্ষ্য ওঁর।
কিন্তু এভাবে স্কুটারেই বাজার বসালেন কেন তিনি? আসলে করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বাজার। ফলে নিজের জায়গায় বসতেও পারছেন না। এদিকে চার সন্তান-সহ স্বামী নিয়ে থেমে থাকতে থাকতে দেওয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গিয়েছে।এই সময়েই উপায় বাতলান খারবুলি। তখনই পথ দেখায় তাঁর পুরনো ভেসপা স্কুটারটি।
আড়তদারের থেকে জিনিসপত্র নিয়ে রাতারাতি স্কুটারটিকে সাজানোর পরিকল্পনা করে নেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলছিলেন, আগে প্রতিদিন ২০০০ টাকা রোজগার হত। কিন্তু এখন টেনেটুনে ৫০০ টাকা হয় বড়জোড়। তবু তো ভাত জুটছে। প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা রাস্তায় থাকেন তিনি। সাহায্য করেন স্বামীই।
করোনা অনেক প্রাণ নিয়েছে। লকডাউনের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বহু মানুষ। তার মধ্যেই একটা অদৃশ্য মশাল জ্বেলে রেখছেন কেন্তিউইম। সেই মশালটা আশার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19