হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বিধিনিষেধের জেরে রবিবার শুনশান শহর, সংক্রমণ কমার আশায় বাসিন্দারা

বিধিনিষেধের জেরে রবিবার শুনশান শহর, সংক্রমণ কমার আশায় বাসিন্দারা

গত কয়েক দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে জেলার সদর শহর বর্ধমানে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশোর কাছাকাছি।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: রবিবার কার্যত লকডাউনের চেহারা নিল বর্ধমান শহর। সকাল থেকেই দোকানপাট বাজারহাট বন্ধ। রাস্তায় সেভাবে যানবাহনের দেখা মেলেনি। দোকান বাজার বন্ধ থাকায় বাসিন্দারাও সেভাবে রাস্তায় বের হননি। করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ চলছে বর্ধমান শহর জুড়ে। তা রুখতে শহরে দোকান বাজার খোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রশাসনের জারি করা সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, রবিবার সব দোকান বাজার বন্ধ থাকবে। তারই জেরে এদিন শুনশান বর্ধমান শহর।

গত কয়েক দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে জেলার সদর শহর বর্ধমানে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশোর কাছাকাছি। ইতিমধ্যেই প্রায় কুড়ি জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র এই শহরে। প্রতিদিনই বেশ কিছু ওয়ার্ড থেকে করোনা আক্রান্তের খবর আসছে। সেজন্যই ভিড় নিয়ন্ত্রণ বিশেষ জরুরি হয়ে পড়েছে এই শহরে। তাই সব বাজার খোলা ও বন্ধ করার সময় বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একবেলা বসছে মাছ ও সবজি বাজার। বেশিরভাগ দোকান পাট বেলা দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকছে সপ্তাহের অন্যান্য দিন। রবিবার সব দোকান বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। আপাতত অগাস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার এই শহরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তেইশ জন। শনিবার নতুন করে এই শহরে আরও এগারো জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। শুক্রবার শুধুমাত্র  বর্ধমান শহরের সাতাশ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বারো জন। শনিবার ফের ওই ওয়ার্ডে তিনজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একই এলাকা থেকে এতজন আক্রান্তের হদিশ মেলায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার শহরের দু'নম্বর ওয়ার্ডে চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।  চার নম্বর ওয়ার্ড ও তের নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছিলেন দুজন। এছাড়াও ছয়, সতেরা, চব্বিশ, ছাব্বিশ ও তেত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় তিন, ছয়, তের, সতেরো, আঠারো, উনত্রিশ ও তেত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।

Saradindu Ghosh

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Coronavirus, East Bardhaman