#ওয়াশিংটন: অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। আর কিছুক্ষণেই শেষ হবে মার্কিনি মতদান। কার মাথায় উঠবে রাজমুকুট, ঠিক করে দেবে .২৫ ন্যানোমিটার ব্যাধের এক ভাইরাস।
মরিয়া লড়াই লড়েছে সব পক্ষই। শেষ মুহূর্তে রীতিমতো কার্পেট বম্বিংয়ের ঢঙে সভা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাতে কি চিড়ে ভিজবে, মন গলবে মার্কিনিদের? প্রাক-ভোট সমীক্ষা কিন্তু বলছে ঠাঁই কঠিন। আর ভোটের ছবিটা ঠিক কেমন? এদিন ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলিতে দেখা গেল মানুষ ভাইরাসের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে রাস্তায় নেমে এসেছেন মত দিতে। কোথাও আধঘণ্টা, কোথাও আবার এক ঘণ্টার লাইনও পড়ল। আলাস্কায় শেষ পর্যায়ের মতদান চলল মার্কিন সময় সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত । তবে প্রতিবার মার্কিনিরা ভোট দেন হাসিখুশি মেজাজে, এবার সেই মেজাজটা উধাও।
এবার মার্কিনিরা অবশ্য একটি বেনজির কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ভোটের আগেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন পোস্টাল ব্যালটে। এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ যা ভোট পড়েছে সেই ব্যালটে তা গতবারের মোট ভোটের ৭৩ শতাংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মার্কিনিদের ভাগ্য ঠিক করে দেবে ওহায়ো, ফ্লরিডা, মিশিগানের মতো প্রদেশগুলি। এইসব প্রদেশগুলিতে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বড়় কোনও অঘটন না ঘটলে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় জয় পেতে পারেন বাইডেন। অন্তত ১০ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে থাকতে পারেন ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে বিল ক্লিন্টনের ১৯৯৬ সালের রূপকথার জয়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে বাইডেনের উত্থানকে।
এখনও অবশ্য ম্যাজিক নম্বরে পৌঁছতে ইলেক্ট্ররাল কলেজ থেকে ফায়দা তোলায় বিশ্বাসী ট্রাম্প। কিন্তু আকাশে সিঁদুরে মেঘ কেন। মার্কিনিদের দুটো মত। এক-ভাইরাসের অভিঘাত সামলানোয় তাঁর অপারগতা, দুই-বেলাগাম মন্তব্য।
শেষ মুহূর্তেও পোস্টাল ব্যালট নিয়ে লিখেছেন, এমনটা হলে হিংসা হবে মার্কিন মুলুকে। বিদ্বেষের বীজ থাকায় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ ট্যুইটটি ডিলিটও করেছে।
তবে লড়াই যে কঠিন তা ট্রাম্প বিলক্ষণ জানেন। কেরিয়ারের সবচেয়ে বিপজ্জনক বাঁকে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প তাই বলছেন, 'জেতা সহজ, আমার জন্যে হারাটা কখনও সহজ ছিল না।' হারার আগেই হার স্বীকার করলেন ট্রাম্প?