#কলকাতা: করোনার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত ৷ নিউ নর্মালেই গত ছ’মাস ধরে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ ৷ করোনা সামগ্রিকভাবে শহর ও গ্রামাঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলেছে ৷ তবে করোনা পরবর্তী জীবন কেমন হবে ? এই প্রশ্নই এখন সবার মনে ৷
করোনা পরবর্তীকালে এক নতুন জীবনযাত্রার উদয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য ধরনের এক বিশ্ব তৈরি হবে। টাটা মোটর্সের প্যাসেঞ্জার বিজনেস ইউনিটের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান বিবেক শ্রীবাস্তবের মতে, সামাজিক দূরত্ব কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সেরা উপায় হিসাবে, বিশ্বজুড়ে সরকারগুলি জনপরিবহণ এবং রাইড শেয়ারিং সংস্থাগুলিকে যানবাহন প্রতি যাত্রীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। লকডাউন চলাকালীন বিশাল সংখ্যক মানুষের যাতায়াত বন্ধ ছিল ৷ সংস্পর্শ কমানোর জন্য বিভিন্নভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। এছাড়াও, লকডাউনের সময় ভিড় এড়াতে দিনের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময় প্রয়োজনমতো রাস্তায় বেরিয়েছেন মানুষ। এখন, ভারতে ‘আনলক’ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজ ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে ৷ ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা ভেবে অনেকেই এমন রয়েছেন, যাঁরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ব্যবহারের প্রতি অনীহা দেখাচ্ছেন।
BCG-র সমীক্ষা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং পশ্চিম ইউরোপের ৪০% থেকে ৬০% উত্তরদাতারা বলেছেন যে তারা গণপরিবহণ এখন থেক কম বা অনেক কম ব্যবহার করবেন, হেঁটে, নিজস্ব গাড়ি বা বাইক চালিয়েই যাতায়াত করবেন। অতএব, ব্যক্তিগত পরিবহণের চাহিদা বাড়বে। অন্যান্য শেয়ার-পরিবহণ, যেমন রাইড হিলিং এবং শেয়ার মোটরগাড়িতে যাতায়াতও কমবে ৷ যদিও নিজস্ব গাড়ি কেনাও এই সময় খুব সহজ কাজ নয় ৷ কারণ করোনার জেরে দেশের অর্থনীতির গ্রাফ ক্রমশই নিম্নগামী ৷ ব্যবসা থেকে চাকরি, সব ক্ষেত্রেই নানা সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ ৷ তাই এই অবস্থায় নিজের গাড়ি কিনলেও তা যতটা সম্ভব কম দামের মধ্যে সেরা গাড়িটা কেনারই ইচ্ছা রাখবেন অধিকাংশ মানুষ ৷
দেশে বায়ুদূষণে লাগাম টানতে গণপরিবহণকে উন্নত ও পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ (সিএসই)। সোমবার প্রথম ‘আন্তর্জাতিক পরিস্রুত বায়ু’ দিবস উপলক্ষে একটি রিপোর্টে সিএসই জানিয়েছে, লকডাউন পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ কমেছে। কিন্তু একই ভাবে গণপরিবহণ ব্যবস্থা ধাক্কা খেয়েছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে বায়ুদূষণ কমাতে গণপরিবহণকে ফের চাঙ্গা করতে হবে। তার জন্য সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্যও প্রয়োজন।
পরিবেশবিদদের মতে, করোনা আতঙ্কে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করছেন। ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ যত বাড়বে, ততই কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি পাবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির প্রচলন বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উপরেও জোর দিয়েছে সিএসই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus