#উত্তরপ্রদেশ: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বেড়ে চলেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা মানুষের। হাসপাতালে বেড নেই। অক্সিজেন নেই। শুধু মাত্র অক্সিজেন না পেয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। বেড না থাকায় হাসপাতালের বাইরেই বহু করোনা আক্রান্ত রোগীকে অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। আবার হাসপাতালের সামনেই অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করে মারা যাচ্ছেন করোনা রোগী। ডাক্তাররা নিজেদের অসহায় বোধ করছেন। এই অবস্থায় কি পরিস্থিতি হবে দেশের বলা মুশকিল। গোটা বিশ্ব ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত । এরই মধ্যে এক নির্দয় ঘটনা সামনে এল উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে।
এই সময় উত্তর প্রদেশের কোভিড পরিস্থিতি খুবই আতঙ্কের। করোনা রোগীর জন্য বেড বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা কোনও বড় যুদ্ধের থেকে কম নয়। এর ঠিক এই কারণেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে হল ৮৫ বছরের সিনিয়র ডাক্তার জেকে মিশ্রাকে। যে হাসপাতালে তিনি জীবনের ৫০ টা বছর দিয়েছেন, সেখানেই চিকিৎসা পেলেন না নিজে। হাজার হাজার মানুষকে সুস্থ করেছেন তিনি। কিন্তু অক্সিজেন ও বেড না পেয়ে মারা যেত হল ৮৫ বছরের ডাক্তারকে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের স্বরূপ রানি নেহরু হাসপাতালে দীর্ঘ ৫০ বছর ডাক্তারি করেছেন জেকে মিশ্রা। গত ১৩ এপ্রিল কোভিড আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি হন তিনি। কিন্তু তাঁর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। ভেন্টিলেশনের দরকার হয়। সে সময় গোটা হাসপাতালে একটাও ভেন্টিলেশন যুক্ত বেড খালি ছিল না। ১০০ টা বেডই পেশেন্টে ভর্তি ছিল। তাই বেড না পেয়ে ছটফট করে মারা যান ডাক্তারবাবু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী। চোখের সামনে এভাবে স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী। ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, 'উত্তরপ্রদেশের কোভিড পরিস্থিতি খুব খারাপ। এই অবস্থায় একটা বেড পাওয়া যাচ্ছে না। জেকে মিশ্রা হাসপাতালে ভর্তির আগে থেকেই ভেন্টিলেশনে কোনও বেড খালি ছিল না। এখন চিকিৎসারত পেশেন্টকে ভেন্টিলেশন থেকে কি করে বার করে দেওয়া সম্ভব ছিল? তাহলে সেই পেশেন্টকেও তো মরতে হত।" কিন্তু এভাবে জেকে মিশ্রার চলে যাওয়াকে হাসপাতাল কতৃপক্ষও মানতে পারছেন না। নিজের হাসপাতালে নিজেই চিকিৎসা পেলেন না। এর থেকে বড় ভাগ্যের পরিহাস, আর কি হতে পারে !
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirsu, Coronavirus 2nd wave in India, COVID-19, Jk mishra, Swarup Rani Nehru (SRN) hospital in Prayagraj