#কলকাতা: এবার নভেল করোনা ভাইরাসের শিকার খোদ মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস্ এর সিইও এবং শীর্ষ নিরাপত্তা আধিকারিক। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর করোনা পরীক্ষার নমুনা পজিটিভ আসে সেখান থেকেই হাসপাতালের এই দুই শীর্ষ আধিকারিকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ শুক্রবার এই ঘটনার পর গোটা হাসপাতাল জুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে বহু কর্মী স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন। চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যেও আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
মল্লিকবাজারের এই নামকরা বেসরকারি হাসপাতালটি মূলত স্নায়ুরোগের চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত৷ হাসপাতালে শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক এবং শীর্ষ নিরাপত্তা আধিকারিক করনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কোন কোন চিকিৎসক এবং নার্স সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে প্রত্যেকেরই নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যেভাবে করোনা প্রকোপ বাড়ছে তা নিয়ে শঙ্কায় স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ জন চিকিৎসক এবং ৪০ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। তবে কোনও বেসরকারি হাসপাতালের শীর্ষ আধিকারিকের করোনা আক্রান্ত হওয়া রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আতঙ্কের সঞ্চার করেছে। এর আগে হাওড়া জেলা হাসপাতালের শীর্ষ আধিকারিকও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ পাশাপাশি, এ দিনই বেহালার বাসিন্দা এক চিকিৎসকের শরীরেও করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে৷
এ দিনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতরকে দেওয়া নির্দেশিকায় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টির উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে৷ তাঁরা যাতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা আবরণ পরেই চিকিৎসা করেন, সেই নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে৷
Avijit Chanda