#সিউড়ি: হাসপাতালই তাঁর ঘরবাড়ি। ডাক্তার অথবা নার্সরাই তাঁর আত্মীয়বন্ধু। করোনা লড়াইয়ে বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের করোনা আইসোলেশান ওয়ার্ডে কর্তব্য পালন করছেন রিঙ্কু পাত্র। দায়িত্বের কথা মাথায় রেখেই ছেড়ে দিয়েছেন বাড়ি ফেরার সব আশা।
রিঙ্কুর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নাতে। নার্স হিসাবে তাঁর প্রথম পোস্টিং হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। লকডাউনের আগেই কাজে যোগ দিয়েছিলেন রিঙ্কু। একবার বাড়িও গিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর পরিবারে রয়েছে মা - বাবা - দাদা। তাঁদের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটিয়ে সেই কাজে ফেরা, নিজের কর্মক্ষেত্র সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তার পর থেকে বাকি নার্সদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চিকিৎসা পরিসেবা দিয়ে আসছে রিস্কু। বাড়িঘর কার্যত ভুলেছেন তিনি।
একটানা কাজ করার পর কয়েক দিন অবশ্যই ছুটি পাওয়া যায় তবে সেই সময় নার্সিং হোস্টেলে থাকতেও মন চায় না তাঁর। তাই অবসর সময়ে হাসপাতালে এসে সাহায্য করেন সহকর্মীদের।
বেশিরভাগ সময়ই রিংকুর ডিউটি থাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে। উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসায় ডাক্তারদের সাহা্য্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজ তৈরি করার কাজ করে চলেন তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে।
ফোনে মায়ের কান্নার আওয়াজ, সাবধানে থাকতে বলেছে মা, মধ্যে মাঝে পরিবারের জন্য মন খারাপ করে ঠিকই তবে মানুষগুলোকে সুস্থ করাই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য, বলে চলেন তিনি।
লকডাউন শেষ হলে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। কিন্তু এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গেলে কিছু সরকারি নিয়ম পালন করতে হয়। তার উপর আজ ভাবতে হচ্ছে পাড়ার স্থানীয় লোকরা কী ভাবে নেবে সে কথাও। তাই আপাতত ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে ছেড়ে মন দিয়েছেন রোগী সেবাতে। তাঁর মা - দিদি - দাদা - ভাই এখন ওই হাসপাতালেরই তাঁর সহকর্মীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Nurse