#উত্তর দিনাজপুর: করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে বিশ্ববাসীকে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে উর্ধমুখী। করোনার ভয়ে বিভিন্ন প্রান্তে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা নিজেদের কাজে যেতে ভয়ে পিছপা হচ্ছে। সেই সময় নজির গড়লেন হেমতাবাদের মহিলা অ্যাম্বুলেন্স চালক সেলিনা বেগম। দিন হোক কিংবা রাত কল আসলেই দ্রুতগতিতে ছুটে চলে সেলিনার গোলাপি-সাদা অ্যাম্বুলেন্স ৷
উত্তর দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ হেমতাবাদের বাসিন্দা সেলিনার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এমএ পাশ করার পরেও সরকারি চাকরি জোটেনি সেলিনার। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখভালের জন্য প্রাইভেট টিউশন পড়িয়েছেন। দুই বছর আগে তৎকালীন জেলা শাসক আয়েষা রানী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি তুলে দিয়েছিলেন। সমস্ত চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে ট্রেনিং নিয়ে সেলিনা এখন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষকে ২৪ ঘণ্টা পরিযেবা দেওয়ার জন্য ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি ছোট্ট ঘরেই মাথা গুজেছে।
উপার্জন বিশেষ নয়, তবু অ্যাম্বুলেন্সের স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে তৎপর সেলিনা বেগম।সেলিনা বলেন, ‘‘ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সব সময় মাস্ক, গ্লাবস ও টুপি পড়ে অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছি। রোগী হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার পরে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষ্কার করছি। তবে সতর্কতা হিসেবে প্রায় দুইমাস বাড়িতে ফিরিনি। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছে যাতে সংক্রমণ না ছড়াই তাই এই সতর্কতা। মাঝে মাঝে ফোনেই কথা হয় পরিবারের সাথে। পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছি। ভয়ে পিছিয়ে যেতে চাই না।সেরিনার কাজের প্রশংসা করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরে হেমতাবাদের বাসিন্দাদের পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে সেলিনা বেগম। করোনা নিয়ে আতঙ্কের পরিস্থিতিতেও পিছিয়ে আসেনি সেলিনা। সে মহিলাদের কাছে একজন অনুপ্রেরণা।সেলিনার কাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ উত্তরদিনাজপুর জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। তিনি জানান সেলিনাকে দেবী দূর্গার সঙ্গে তুলনা করে বলেন সেলিনা খবর পেলেই সেখানে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে। ওর সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দেবে বলে অঙ্গীকার করেন। তিনি করোনার বিরুদ্ধে সামনে লড়াই করছেন।
Uttam Paul
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, COVID-19