হোম /খবর /করোনা ভাইরাস /
করোনায় বাড়িতে বন্দি, এক ফোনেই সাহায্যের জন্য ছুটে যাচ্ছেন ওরা

কোয়ারেন্টাইন হোক বা করোনায় গৃহবন্দি, প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসছেন ওঁরা! 

খাবারের রসদ, রেশন সামগ্রী না পেলে তো আরও সমস্যা বাড়বে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#শিলিগুড়ি: বাড়ির কেউ আক্রান্ত। আর তাই স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কখনও বাঁশ দিয়ে বা আবার কখনও রিবন দিয়ে আটকে রেখে দেয় বাড়ির প্রবেশ পথ। যাতে বাড়ির কেউ বাইরে বের না হয় বা বহিরাগতরা ওই বাড়িতে না আসতে পারে। এটাই এখন করোনা আক্রান্তের বাড়ির অবস্থা। অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাড়ির অন্য আত্মীয়দের। আক্রান্তের বাড়ির কেউই পাড়ার দোকান বা বাজারে যেতে পারবে না। তাতে সংস্পর্শে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে।  এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।

গৃহবন্দী আক্রান্তের বাড়ির পরিবারের অন্য লোকেদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থাও করছে পুরসভা বা পঞ্চায়েত। আবার অনেক ক্ষেত্রে তা করাও হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এতে সমস্যা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট আক্রান্তের পরিবারের। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সামগ্রী তো চাই। খাবারের রসদ, রেশন সামগ্রী না পেলে তো আরও সমস্যা বাড়বে। এদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং কিছু সহৃদয় ব্যক্তি। সাধ্য মতো খাবার পৌঁছে দিয়ে আসছেন আক্রান্তদের বাড়িতে। তাদের মধ্যে একটি সংগঠন শিলিগুড়ি স্মাইল এণ্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সংগঠনের সদস্যরা খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন আক্রান্তের দোরে দোরে!

কোয়ারেন্টাইন হাউসে হাউসে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী হাতে নিয়ে। পরিমাণ মতো চাল, ডাল, সর্ষের তেল, সোয়াবিনের প্যাকেট সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসছেন। শহর ও লাগোয়া ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি এলাকায়। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকা মূলত বিপিএল পরিবারের বসবাসের সংখ্যা বেশী। অনেক ক্ষেত্রেই রোজগারের  কর্তা আক্রান্ত হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই যে অন্যদের দিয়ে বাজার থেকে কিনিয়ে আনবেন। তাদের পাশেই এই সংগঠন। লকডাউনের আড়াই মাসের সময়েও পাশে ছিলেন তারা। ফের লকডাউন শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে। লাগোয়া পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্টেইনমেন্ট জোনেও চলছে কড়া লকডাউন। সংগঠনের সদস্য রাজু দে জানান, ফোন এলেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছি আমরা। এমন ফোন এলে আগামীতেও আক্রান্তদের পাশে থাকব আমরা।

Partha Pratim Sarkar

Published by:Elina Datta
First published:

Tags: Coronavirus