#নয়াদিল্লি: ভারতে কোনও ভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকানো যাবে না। প্রথম দফায় যতটা ভয়ঙ্কর হয়েছিল করোনার দাপট, দ্বিতীয়বারও ঠিক ততটাই খারাপ হতে পারে কোভিড ১৯-এর প্রকোপ। তবে এর জন্য মানুষই দায়ী থাকবেন। করোনার বিধিনিষেধ ঠিক মতো না মান্য করলে এই ভয়াবহতা কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না। রবিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের (AIIMS)-এর প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, নতুন করে ফের ভারতে করোনা বৃদ্ধির কারণ, করোনাবিধি না মেনে চলা।
তাঁর মতে, 'ঠিক মতো কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং হচ্ছে না। করোনাবিধি মনে চলায় ব্যাপক গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন চলে এসেছে দেখে মানুষ মনে করছেন অতিমারি চলে গিয়েছে। মাস্ক পরছেন না অনেকে। বিপুল ভিড় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়, সেখানেও মাস্ক পরছেন না কেউ। এই ভিড়ই সুপারস্প্রেডার হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।'
এছাড়াও রয়েছে আরও কারণ। এইমস প্রধানের কথায়, 'করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। ৬ মাস আগেও যেভাবে করোনার পরীক্ষা চলছিল, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং চলছিল তা এখন হচ্ছে না। তার সঙ্গে কোভিড ১৯ ভাইরাসটি নিজেও চরিত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে বেঁচে রয়েছে। ফলে সংক্রমণ আরও বেড়েই চলেছে।'
গত বছরও ঠিক এই সময় থেকেই ভারতে ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছিল করোনাভাইরাস। ২০২১-এও ফের একই রকম ভয়াবহতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে কোভিড ১৯-এর দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে করোনা রোগী ধরা পড়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। গত চার মাসে সর্বোচ্চ একদিনে আক্রান্ত। পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে ফের জোরদার করা হয়েছে করোনাবিধি। স্কুল বন্ধ, জনবহুল এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কোনও কোনও জেলায় ফের নাইট কারফিউ চালু করা হয়েছে।
গত ১১২ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী ধরা পড়েছে রবিবার। সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনার রোগী ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরালা, কর্নাটক ও গুজরাট রাজ্যে। ভারতে ফের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়াল। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি, ১০ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, India coronavirus