#শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আজ থেকে চালু হল কোভিড ব্লক। পুরোপুরিভাবে সরকারী এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে বেসরকারি হাসপাতাল ছেড়ে দেবে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই কাওয়াখালির একটি বেসরকারী হাসপাতাল ছেড়েও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। গত বছরে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকায় শিলিগুড়িতে দুটি বেসরকারী হাসপাতাল নেয় স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই সম্পূর্ণ বিনা খরচে করোনার চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।
কয়েক কোটি টাকা গুনতে হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। গত নভেম্বর থেকে আক্রান্তের গ্রাফ নামতে শুরু করায় স্বাস্থ্য দফতর ঠিক করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই কোভিড ব্লক চালু করবে। রাজ্যের অর্থ বরাদ্দের পরই কাজ শুরু হয় নয়া ব্লকের। মাস দুয়েকের মধ্যে পরিকাঠামো মোটামুটি তৈরী। এখোনো পুরোপুরিভাবে তৈরি না হলেও চিকিৎসা শুরুর পরিকাঠামো রয়েছে। আরো মাস খানেকের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাবে এই ব্লক। আপাতত ৮৪টি সাধারণ বেড দিতেই পরিষেবা চালু করলো মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গে সিসিইউ বেড রয়েছে ৮টি এবং এসডিইউ বেড রয়েছে ৮টি।
প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিণ্ডার সহ কোভিড চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম রয়েছে। বর্তমানে গ্রাফ অনেকটাই কম। গড়ে প্রতিদিন ২ থেকে ৫ জন রোগী শিলিগুড়ি পুরসভায় আক্রান্ত হচ্ছে। আজ পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১! চাপ কম থাকলেও ঝুঁকি নিতে নারাজ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এখনও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলারই পরামর্শ দিয়ে আসছে স্বাস্থ্য কর্তারা। আজ নয়া এই ব্লকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কোভিডের উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক সুশান্ত রায়।
তিনিও বলেন, সচেতনতাই মূল মন্ত্র। এদিকে মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা নতুন করে জাল ছড়ানোয় উদ্বেগ বাড়ছে। কেননা রাজ্যজুড়েই চূড়ান্ত অসাবধানতার ছবি। না আছে মাস্ক, না দূরত্ব বিধি। স্বাভাবিক ছন্দে গোটা রাজ্য। কোভিড প্রতিষেধক এসেছে। প্রথম দফায় চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা টিকা নিয়েছেনও। পুলিশ সহ অন্য যোদ্ধারাও নিচ্ছেন। তবু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না।
Partha Sarkar