#হুগলি: ২১ দিনের লকডাউন, শুনশান রাস্তায় শুধুই ওদের অনুমতি। রেল ষ্টেশন থেকে শপিংমল শুধুই নিস্তব্ধতা। অফিস পাড়াতেও দেখা নেই চেনা মুখগুলোর, অফিসের ব্ৰেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ শেষ করার পরে খাবারের অভাব হত না ফুটপাতের সারমেয় গুলোর। চেনামুখ দেখলেই অফিস যাবার আগেই জুটে যেত কেক- বিস্কুট। দুপুরে খাবারের কোন অভাবও হত না।
মারণ করোনা ভাইরাসের জেরে প্ৰধানমন্ত্ৰীর একটি ঘোষণায় শুরু হয়েছে লকডাউন। এই ভাইরাসের জেরে রোজের রুটিন বদলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বন্ধ শহরের অধিকাংশ জায়গা। চেনামুখগুলো পশুপ্রেমী নামে পরিচিত। নিজের মতোই রাস্তার কালু ,লালু , ভুলুর জন্য সমপরিমাণ খরচ হয়। আজ সবার বাড়িতে, ষ্টেশন থেকে অফিস চত্ত্বর ঘুরেও মিটছে না কালুদের পেটের জ্বালা। শহরের বেশকিছু পশুপ্রেমী সংগঠন এই কুকুরদের খাদ্যের অভাব মেটায় প্রতিদিন। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় তারাও এখন ঘরবন্দি। বাড়ির দরজা পেরালেই পুলিসের চোখ রাঙানি, নিরুপায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পশুপ্রেমীরাও। পশুপ্রেমীদের এক সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ই-মেল মারফত রাজ্যের প্ৰশাসনিক ভবনে বিভিন্ন সমস্যার মতোই এই সমস্যাও জানাল । হাজারও সমস্যার মধ্যে ব্যতিক্রম ছবি আছে শহরের বুকে। লকডাউনে ছাড় মুদির দোকান। সেই সুযোগে কিছুটা অচেনা মুখেদের হাতেই খাবার মিলছে পথকুকুরদের। পশুপ্রেমীদের অনেকেই রসিকতার সঙ্গে বলছেন "আমাদের মতন ওরাও গুনছে ২১ দিন"।
Susovan Bhattacharjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Coronavirus, COVID-19, Home Lockdown, Lock Down, Stay Home, Street Animal, Street Dog