#কলকাতা: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার লকডাউন পরিস্থিতি দেখল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার দিনভর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের লোকজন পরিস্থিতি দেখতে যাওয়া নিয়ে বিস্তর নাটক হয়। বিএসএফের গেস্টহাউস থেকে প্রথম দফায় বেরোলেও কিছুক্ষণ বাদেই আবার বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের অফিসে ঢুকে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
সকাল ১১ টা থেকে দুপুর তিনটে প্রায় চারঘন্টা বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের অফিসেই সময় কাটান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অবশ্য রাজ্যের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ আনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের আগেই রাজ্যকে কার্যত একহাত নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে বলা হয়, " রাজ্য কে সহযোগিতা করতেই তারা এসেছেন। রাজ্যের তরফে সোমবার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল নবান্নে। কিন্তু তারপরও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। রাজ্যের তরফে সহযোগিতা না এলে তারা কি করে পরিদর্শন করবেন। অন্যান্য রাজ্যে ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গেছে। সেখানে সহযোগিতা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে।" মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এই বিবৃতির পর পরই মুখ্য সচিবের সঙ্গে প্রায় মিনিট ৪০ এর বৈঠক হয়। শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠকেই কার্যত জটিলতা কেটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তাতেই লকডাউন পরিস্থিতি দেখতে বেরোন।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা নিয়ে সরব হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসার ব্যাপারে রাজ্যকে আগে জানানো হয়নি। সোমবার থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের আসা নিয়ে় বিস্তর জলঘোলা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৃণমূলের সংসদীয় দল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসার ব্যাপারে একের পর এক বক্তব্য পেশ করেন ।
সেই সংঘাতের আবহেই কার্যত দুপুর নাগাদ মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরেই কাটে জট। সূত্রের খবর এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজ্যের সব তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয় মুখ্যসচিবের তরফে। তবে গোড়া থেকেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বিভিন্ন জায়গা সরেজমিনে পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাজ্যের কাছে। সকাল থেকেই সেই সম্ভাবনা খুব একটা ইতিবাচক না হলেও বিকেলের পর কেন্দ্রীয়় প্রতিনিধিদলকে কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে বেরোতে হয়। মঙ্গলবার বিকেলে গড়িয়াহাট, ঢাকুরিয়া, যাদবপুর, সন্তোশপুর, মুকুন্দপুর, চেতলা ,আলিপুর জায়গাগুলি পরিদর্শন করে। মূলত দক্ষিণ কলকাতায় লকডাউন কতটা মানা হচ্ছে তা বুঝে নিতে দক্ষিণ কলকাতার এই অংশগুলি পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। সূত্রের খবর বুধবার আরো বেশ কিছু জায়গায় পরিদর্শন করতে পারে কেন্দ্রীয়় পরিদর্শক দল।
Somraj Bandopadhyay
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Coronavirus, COVID-19, Home Lockdown, Lock Down, Stay Home