#শিলিগুড়ি: শাসক দলের বিতর্কিত নেতা হিসেবেই তাঁর নামডাক শিলিগুড়ি শহরে।বিতর্ক কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়ে না। তিনি রঞ্জন শীল শর্মা। এবারে তাঁর মানবিক মুখ দেখল পুরসভার সংযোজিত দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আড়াই মাস লকডাউনের সময়ে দেখা দিলেন এক অন্য রঞ্জন!
পুরসভার ৩৬ ও ৩৭ নং ওয়ার্ডে লকডাউনের দিনগুলোতে নিয়ম করে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের হাতে। এক বার নয়। দিনে দু'বেলাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবারের প্যাকেট তুলে দিয়েছেন তিনি। শিশুদের মুখেও তুলে দিয়েছেন খাবার। কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে নীরবেই ৩৬ ও ৩৭ নং ওয়ার্ডে বিপিএল পরিবারের লোকেদের মাথার ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন "অভিভাবক" হয়ে।
এই দুই ওয়ার্ডেই দিন আনি দিন খাই মানুষের বসবাস। কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে, তার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। লকডাউনের কঠিন সময়ে তাঁকে দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এভাবেই দেখেছেন খুব কাছ থেকে।
শুধু কি খাবার? না! ওষুধ সহ প্রয়োজনীয় অন্য সামগ্রীও তুলে দিয়েছেন। আর এবারে আনলক ওয়ান শুরু হতেই শিলিগুড়িতে বাড়ছে করোনার দাপট! প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা! শহর ছাপিয়ে মারণ করোনা এবারে থাবা বসিয়েছে সংযোজিত ওয়ার্ডেও। বাদ যায়নি ৩৬ ও ৩৭ নং ওয়ার্ডও! দুই ওয়ার্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ৩৭-এ আক্রান্তের হার বেশি। তিনি আবার ৩৭-য়ের পুরসভার কো-অর্ডিনেটরও। তাতে কি এসে যায়! দুটি ওয়ার্ডই যে তাঁর নখ দর্পনে।
এবারে ঝুঁকি নিয়েই আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী নিয়ে। কেননা আক্রান্তদের বাড়ি বাঁশের ব্যারিকেডে বাঁধা। বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি নেই। তাই আক্রান্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নিজের মোবাইল নম্বরও দিয়ে এসছেন। সঙ্গে তাঁর বার্তা, যে কোনো সময়েই যে কোনো প্রয়োজনে তাঁকে ফোন করলেই মিলবে সুরাহা!
কখনও নিজের ওয়ার্ড ৩৭ তো আবার কখোনও বা পাশের ওয়ার্ড ৩৬-এর আক্রান্তের বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। রঞ্জনবাবু জানান, এখনই তো ওদের পাশে থাকতে হবে। সাহস জুগোতে হবে ওদের। করোনা মানেই ওদের আলাদা করে দেওয়া নয়। ওরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। তাই সাধ্য মতো পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19