#শিলিগুড়ি: দেশজুড়ে লকডাউন। করোনা মোকাবিলায় টানা ২১ দিন লকডাউনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বড় প্রভাব পড়েছে শিলিগুড়িতেও। ভিড় বাড়ছে বাজার থেকে মুদিখানার দোকানে। বার বার করে রাজ্য এবং কেন্দ্র বলছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, খাদ্য সামগ্রীর টান পড়বে না। মালগাড়ি চলছে। পণ্য আমদানী এবং রপ্তানীর জন্যও বিশেষ গাড়ি চলবে। তবু আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয়দের। জিনিসপত্র মজুতের হিড়িক পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
শুধুই কি চাল, ডাল, ডিম, সবজি মজুত করা ? এই তালিকায় সংযোজন হয়েছে ওষুধও। হ্যাঁ, ওষুধ মজুত করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে গোটা শিলিগুড়ি শহরজুড়ে। আর তাই শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওষুধের দোকানগুলিতে লম্বা লাইন। যাঁর ৭ দিনের ওষুধ প্রয়োজন, তিনি ২০ দিনের ওষুধ কিনছেন। আবার অনেকেই এক থেজে দের মাসের ওষুধ মজুত করছেন বলে জানান ওষুধ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বার বার বলছে, আতঙ্কিত হবেন না। শিলিগুড়িতে ওষুধ মজুত রয়েছে যথেষ্ট। চিন্তার কিছু নেই। ওষুধও নিয়মিত আসছে। তবু কিছুতেই যেন দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারছেন না শহরবাসী। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় লাইনে দাঁড়িয়ে। কোনও কোনও ওষুধের দোকানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে। আবার কোথাও মানা হচ্ছে না। কার্যত ঠাসাঠাসি করে চলছে ওষুধ বেচাকেনা। আর কবে সচেতন হবে মানুষ? বারবার সরকার বলছে আতঙ্ক নয়, সচেতন হন। তবুও কেন অসাবধানতা? আর যেকোনও বনধেই ওষুধের দোকানে ছাড় থাকে। লকডাউনেও খোলা থাকবে ওযুধের দোকান। ঘোষণা করেছে সরকার। তবু কেন এই ভিড়? আতঙ্ক। স্রেফ করোনা আতঙ্কে।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।