#ব্যারাকপুর: 'রাস্তা তো নয় যেন মরণফাঁদ', বক্তব্য ব্যারাকপুরের শাঁখারী পাড়া এক প্রৌঢ্যের। চিত্রটা ঠিক তাই। ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে ইছাপুর পর্যন্ত প্রায় কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোষপাড়া রোড কার্যত মরণ ফাঁদ।
ব্যারাকপুর থেকে নৈহাটি বা ব্যারাকপুর থেকে বারাসাত যাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হল ঘোষপাড়া রোড। সেই রাস্তার এখন বেহাল দশা। করোনা ভাইরাসের জন্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কি এখন আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বাস, বড় বড় লরি যেমন চলে, তেমনি ট্রেন না চলায়, প্রাইভেট কার, অটো টোটো বাইক স্কুটার নিয়ে যাতায়াত করেন অসংখ্য মানুষ এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু ঘোষপাড়া রোডের অবস্থা এমনই যে প্রতিদিন কোথাও যদি অটো উল্টাচ্ছে তো কোথাও টোটো উল্টাচ্ছে। বাইক স্কুটার নিয়ে আচার খাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
রাস্তার এমনই হল যে কোথাও এক ফুট, কোথাও দু ফুট, কোথাও কোথাও আবার তার থেকেও বেশি গর্ত হয়ে গেছে। অনেক গর্তের দৈর্ঘ্য দশ ফুটের কাছাকাছি। এরপর বৃষ্টি বিপদ বাড়িয়েছে আরও। খানাখন্দ গুলো জল জমে থাকায় পথচারীরা বুঝে উঠতে পারছেন না কোন গর্তের গভীরতা কত। তার ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা রোজ বাড়ছে। শাখারী পাড়ার বাসিন্দা রাজু সুর বলেন, 'দীর্ঘ দিন ধরেই রাস্তার হাল খুব খারাপ। বার বার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। রোজই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।' ব্যারাকপুরের লালকুঠি মোড়ের টোটো চালক লাল্টু দাস বলেন, 'প্রাণ হাতে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। রোজ কেউ না কেউ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। গতকাল একটা টোটো উল্টে একজন মহিলা যাত্রীর হাত ভেঙে গেছে। যে কোনও সময় আমার গাড়িতেও একি ঘটনা ঘটতে পারে।'
কিন্তু কেন এই দুর্বিষহ অবস্থা? স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতির জন্য এই রাস্তার কাজ করা সম্ভব হয়নি। তারপর বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কিছু কিছু জায়গায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় ইট ফেলে মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত চিত্র বলছে ইট ফলে মেরামত করতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একে ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে রাস্তার ওপর অতিরিক্ত চাপ তার সঙ্গে বৃষ্টি। সামরিক মেরামতির যে ব্যবস্থা হয়েছিল তা কার্যত ধুয়ে মুছে গেছে। ফলে ঘোষপাড়া রোড হয়ে উঠেছে আরও ভয়াবহ।
Soujan Mondal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Barrackpur Road