#নয়াদিল্লি: দেশে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ। গত সাত মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। প্রায় ১ লক্ষ মানুষ দেশে একদিনে করোনায় (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় দেশের সমস্ত চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে এইমস (AIIMS)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়াও জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসেই সবচেয়ে ভয়ানক রূপ নিতে পারে দেশের করোনা পরিস্থিতি। সে কারণে তিনি দেশজুড়ে মিনি লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
কোভিড ১৯ (Covid-19) অতিমারি এই মুহূর্তে দেশের চিন্তা ফের বাড়িয়ে তুলেছে। রণদীপ গুলেরিয়া নিজে দেশের কোভিড ১৯ টাস্ক ফোর্সের একজন সদস্যও। তাঁর কথায়, 'বেশ কয়েক মাস সময় ধরে দেশের করোনার গ্রাফ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। সেটাও বাঁধা ছিল প্রথম ঢেউতেই। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। খুবই কম সময়ে অতিরিক্ত বাড়ছে করোনা। রাজধানীতেও একই পরিস্থিত লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে এলাকাভিত্তিক ভাবে মিনি লকডাউন এই সংক্রমণে কিছুটা হলেও বাধ সাধতে পারে।'
টানা ২৫ দিন ধরে ক্রমাগত দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬,৯১,৫৯৭ জন। মোট আক্রান্তের প্রায় ৫.৫৪ শতাংশ। সুস্থতার হারও কমেছে ৯৩.১৪ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে প্রাণহানিও ঘটেই চলেছে। তবে শনিবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচা গিয়েছে। কারণ শনিবার দৈনিক মৃত্যু যেখানে ৭১৪ ছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৫১৩-য় নেমে এসেছে। সবমিলিয়ে করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৩ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতে এই মুহূর্তে মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ২৪৯ জন।
গত একদিনে দেশে যত সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এর মধ্যে ৮১.৪২ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং মধ্যেপ্রদেশ এই ৮টি রাজ্য থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দৈনিক সংক্রমণে দেশের মধ্যে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র। করোনার প্রকোপে সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪৪৭ জন। ২৭৭ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: AIIMS, Coronavirus, India coronavirus