#নয়াদিল্লি: চিকিৎসকদের জন্য বেতন নেই, নেই তাঁদের জন্য প্রকৃত সুরক্ষা ব্যবস্থা-এই অবস্থার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ কোভিড ১৯-র বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিকিৎসকদের ওপর অন্যায্য ব্যবহার নিয়ে রেগে সর্বোচ্চ আদালত ৷ শুক্রবার নিজেদের বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘যুদ্ধের সময় সেনাদের অখুশি রাখতে পারেন না, একটু বেশি উদ্যেগী হন , একটু বেশি সামর্থ্য ব্যয় করুন, ওঁদের মনোমালিন্য দূর করে করুন ৷ ’
স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের বকেয়া বেতন নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হলে তাতে সরকার নিজের থেকে ঢুকে সেই সমস্যা মেটাক এমনটাই বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের ৷
এক চিকিৎসকের দায়ের করা পিটিশনের শুনানিতে এই মত তুলে ধরেছে সুপ্রিমকোর্ট ৷ এই পিটিশন যিনি দায়ের করেছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন একাধিক জায়গায় চিকিৎসকরা বেতন নিয়ে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন ৷ কারণ কোথাও বেতন দেরিতে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বেতন কম দেওয়া হচ্ছে ৷
পাশাপাশি চিকিৎসকদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন এই মুহূর্তে বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের এসওপি ৷ এই বিষয়টিও পিটিশনে তুলে ধরা হয়েছিল ৷
বিচারপতি অশোক ভূষণ, এসকে কউল ও এম আর শাহের বেঞ্চ এই পিটিশনের শুনানিতে বলেন , ‘ In war, you do not make soldiers unhappy. Travel extra mile and channel some extra money to address grievances. Country cannot afford to have dissatisfied soldiers in this war which is being fought against Corona’ -অর্থাৎ যুদ্ধে সেনাকে কখনই অখুশি রাখা যায় না ৷ তাঁদের জন্য একটু বেশি করে নিজেদের সীমাকে বাড়িয়ে তুলতে হবে যাতে তাঁদের কোনও অভিযোগ না থাকে ৷ তাঁরা আরও বলেছেন , করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা যুদ্ধ করছেন সেই সেনাদের কী করে তাঁদের অখুশি রাখেন ৷ ’
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন আরও প্রস্তাব আসছে যেখানে চিকিৎসকদের ভালো করে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
বেঞ্চ জানিয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে যেখানে চিকিৎসকদের বেতন নিয়ে গণ্ডগোল হচ্ছে ৷ তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি চিকিৎসকরা ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটছেন, দিল্লিতে অনেক চিকিৎসককে গত তিন মাস বেতন দেওয়া হয়নি ৷ এই বিষয়গুলি সঠিকভাবে দেখতে হবে ৷ এতে কোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হওয়া উচিত নয় ৷ ’