#নয়াদিল্লি: করোনা সেরে যাওয়ার পরে একই ব্যক্তি ফের COVID-19 আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে হংকংয়ে৷ ভারতেও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করলেন, এ দেশেও গ্রেটার নয়ডা ও মুম্বইয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে একবার সেরে যাওয়ার পরে পুনরায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চলতি সপ্তাহের শুরুতে৷
সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার বিষয় হল, গবেষকরা স্পষ্ট দেখছেন, করোনা ভাইরাসের দ্রুত মিউটেশন হচ্ছে৷ ভাইরাসের প্রথম নমুনা ও দ্বিতীয় নমুনায় স্পষ্ট জেনেটিক পার্থক্য৷ অর্থাত্ এই ভাবে মিউটেশন হতে থাকলে ভ্যাকসিন তৈরি করা মুশকিল হয়ে যায়৷
দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টাগ্রেটিভ বায়োলজি (IGIB) সম্প্রতি সাত জোড়া ভাইরাল RNA নমুনা পরীক্ষা করে দেখেন, ব্যাপক হারে জেনেটিক পরিবর্তন স্পষ্ট৷ গ্রেটার নয়ডায় ৪ জন ও মুম্বইয়ের ২ স্বাস্থ্যকর্মী পুনরায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এই টেস্ট করেন বিজ্ঞানীরা৷ তবে ভাইরাসটির মিউটেশন নিয়ে আরও গবেষণা দরকার৷ দেখতে হবে, অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পরেও কেন পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছে৷ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভ্যাকসিনে এই বিভিন্ন ধরনের করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা৷
IGIB-র ডিরেক্টর অনুরাগ আগরওয়ালের কথায়, 'মুম্বই ও গ্রেটার নয়ডার নমুনাগুলিতে আমরা অনেক পার্থক্য দেখলাম৷ ব্যাপক জেনেটিক পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট৷'
চিকিত্সা ক্ষেত্রে রি-ইনফেকশনের সংজ্ঞা হল, RT-PCR টেস্টে একজন ব্যক্তি অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ল৷ এরপর তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন৷ RT-PCR টেস্টে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ পাওয়া গেল৷ মাঝে বেশ কিছু সময় সম্পূর্ণ সুস্থ৷ এরপর ফের RT-PCR টেস্টে দেখা গেল করোনা পজিটিভ৷
গ্রেটার নয়ডায় যে স্বাস্থ্যকর্মীরা পুনরায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সোয়াব টেস্টে দেখা গিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয়বার-- দু’বারই তাঁরা উপসর্গহীন৷ তবে দ্বিতীয় বার শরীরে ভাইরাসের লোড অনেক বেশি৷ এ ক্ষেত্রে গবেষকদের ভাবাচ্ছে, প্রথমবার সেরে যাওয়ার পরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল৷ তা হলে দ্বিতীয় বার ভাইরাসের লোড বাড়ছে কী করে৷
প্রসঙ্গত, এই স্বাস্থ্যকর্মীরা গত মে মাসে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন৷
খবরটি ইংরেজিতে পড়তে ক্লিক করুন