#হাওড়াঃ শ্রমজীবী ক্যান্টিনের পর এ বার জেলাজুড়ে 'রেড ভলেন্টিয়ার্স' গ্রপ তৈরী করে অসহায় মানুষের পশে বাম ছাত্র যুবরা। হাওড়া জেলা জুড়ে কোন করোনা রোগীর অক্সিজেন লাগবে, কার অ্যাম্বুলেন্স লাগবে? সব সমস্যার সমাধান করতে একদল যুবক দিনরাত এক করে দৌড়ে বেড়াচ্ছে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। করোনার মতো মারণ রোগেকে তোয়াক্কা না করেই কখনও গাড়িতে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, আবার কখনও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধারেও পিছিয়ে নেই তারা। কখনও টোটো করে আবার কখনও স্কুটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দৌড়ে চলছে রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যরা।
করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসতে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই বিশেষ পোশাকের ব্যবহার করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই যুবকদের শরীরে দেখা মিলছে না সেই পোশাক, যা ঘিরে কিছুটা আশঙ্কার মেঘ তৈরী হয়েছে। কেন নেই সেই পোশাক? প্রশ্নের উত্তরে এক সদস্য সোমনাথ গৌতম জানান, আসলে যখন তখন সাহায্য চেয়ে ফোন আসছে, সেই সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই সব সময় পোশাকের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও সেই পোশাকের যা দাম, সেই আর্থিক সু-ব্যবস্থাও আমাদের নেই। সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট পোশাক মজুত করা যাচ্ছে না। সারাদিনে এক এক জনকে কমপক্ষে ৫-৬ জন রোগীকে পরিষেবা দিতে হচ্ছে, তাও আবার বিভিন্ন সময়ে, ফলে প্রতিবারই PPE ব্যবহার করতে গেলে একজন সদস্যের প্রতিদিন কম করে পাঁচটি করে PPE পোশাক লাগবে যা কিনতে প্রচুর খরচ।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, কিছু কিছু জায়গা থেকে কিছু পোশাক সাহায্য পাচ্ছি সেই গুলি আমরা বিশেষ বিশেষ সময়ে কাজে লাগাচ্ছি। সংগঠনের সদস্য উত্তম সোম জানান, আমরা সাধারণত অক্সিজেন ও রক্তের যোগানের কাজ করেছি, ফলে এই অতিমারীর সময় রক্তের হাহাকার থেকে কিছুটা মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। অক্সিজেন পৌঁছে দিলেও তা ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারছেন না অনেক সদস্য। তাই এ বিষয়ে যারা পটু ও কিছু স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স রয়েছেন আমাদের এই দলে। তাঁরাই আমাদের সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, প্রয়োজনে তাঁরাও যাচ্ছেন রোগীর বাড়িতে।
রাজনৈতিক দলের সংগঠন হলেও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কোনও রাজনৈতিক রং না দেখেই দিচ্ছেন পরিষেবা। অন্য রাজনৈতিক দলের তরফে কিছু ব্যঙ্গ করলেও বাম নেতাদের দাবি, আমরা দুয়ারে সরকার বা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। তাই আমরা বলতে পারি দরজা খুললেই মানুষ তাঁদের দুয়ারে 'রেড ভলেন্টিয়ার্স'র সদস্যদের দেখতে পাবেন। ২০২০ সালে অতিমারীর সময় যে ভাবে অসহায় মানুষদের পাশে ছিল আমাদের সদস্যরা। এখনও সেই ভাবেই তাঁরা মানুষের পাশে থাকবে।
Debasish Chakraborty
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus