#নয়াদিল্লি: সেনসিটিভ PCR টেস্টের থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ব়্যাপিড টেস্ট। যদি একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বারবার ব়্যাপিড টেস্ট করা যায়, তাহলে দ্রুতহারে কমতে পারে করোনা সংক্রমণ। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়।
এই বিষয়ে সমীক্ষার লেখক ও অ্যামেরিকার কলোরাডো বোল্ডার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড্যানিয়েল ল্যারেমোর জানাচ্ছেন, জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করার পদ্ধতি বা টেস্ট এমন হওয়া উচিত, যা দ্রুত রিপোর্ট জানাতে পারবে। অর্থাৎ কম সেনসিটিভ হলেও একদিনের মধ্যে যে টেস্টে ফলাফল পাওয়া যায়, সেটি অবলম্বন করা উচিত আমাদের। এর জন্য বেশি সেনসিটিভ বা PCR টেস্টের কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ এতে বেশি সময় লাগে। এককথায় বলতে গেলে, সবাইকে বাড়িতে বন্দি থাকতে বলার চেয়ে ভাল দ্রুত সংক্রমিতের সন্ধান করা। এতে খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতির সামাল দেওয়া যেতে পারে।
করোনা সংক্রমণ কমাতে টেস্টের ফ্রিকোয়েন্সি, টার্ন অ্যারাউন্ট টাইম ও সেনসিভিটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা জানার জন্য হার্বার্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করে এই সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা। সম্প্রতি Science Advances জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সমীক্ষাটি। এক্ষেত্রে, প্রথমে ১০হাজার মানুষ, তারপর ২০হাজার ছাত্রের একটি ইউনিভার্সিটির পরিবেশ ও পরে ৮.৪ মিলিয়নের একটি শহরের মোট তিনটি হাইপোথেটিকাল পরিস্থিতিতে তিন ধরনের টেস্ট করা হয়। পরে স্ক্রিনিংয়ের প্রভাব মূল্যায়ণের জন্য একটি পরিসংখ্যান তৈরি করেন গবেষকরা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই টেস্টগুলির ভূমিকা নিয়ে পর্যালোচনা করার পর দেখা যায়, টেস্টের ফ্রিকোয়েন্সি ও টার্ন অ্যারাউন্ট টাইমই সর্বাধিক উল্লেখোগ্য। এক্ষেত্রে টেস্টের সেনসিভিটি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
উদাহরণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি বড় শহরে সপ্তাহে দুবার ব়্যাপিড টেস্ট ভাইরাসের সংক্রমণ প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। এক্ষেত্রে টেস্টের সেনসিভিটি ততটা উল্লেখযোগ্য ছিল না। কিন্তু সপ্তাহে যদি দু’বার একটি সেনসিটিভ PCR (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) করা হয়, তাহলে মাত্র ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত সংক্রমণ কমতে পারে। কারণ এই PCR টেস্টে ফলাফল আসতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময় নেয়। তাই গবেষকদের বার্তা, টেস্টিংয়ের পরিমাণ একই থাকলেও সেনসিটিভ PCR টেস্টের চেয়ে ভাল কাজ করে ব়্যাপিড টেস্ট। কমায় সংক্রমণের পরিমাণও।
সমীক্ষা জানাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অনেকে উপসর্গহীন। অনেকের আবার মৃদু উপসর্গ থাকছে। ফলে করানো টেস্টের পরও এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান তাঁরা। কারণ রিপোর্ট আসতে দেরি হয়। আর নিজেদের অজান্তেই ভাইরাস ছড়াতে থাকেন তাঁরা। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বারবার টেস্ট করাটা খুব প্রয়োজন। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের মতে, যথাযথ ব়্যাপিড টেস্ট অনেকাংশেই উপযুক্ত সচেতনতা অবলম্বন ও সংক্রমণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus