#কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে যোদ্ধা ওরাই, কন্টেইনমেন্ট জোন হোক বা করোনা হাসপাতাল, দেখা যায় ওদের সাদা পোশাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে পুলিশ করোনা যোদ্ধা। প্রতি বছরের থেকে এই বছর যে আলাদা তা আর কারোর অজানা নেই। প্রতিবছরের মত এই বছর রাখি বন্ধন উৎসব এলেও সামাজিক দুরত্ব ও কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন যেন বড় হয়ে উঠেছে উৎসবের দিনেও। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ছুটি তো দূরে থাক, কারোর বাড়িতে যাওয়াও যেন চিন্তার।
প্রতি বছর রাখি বন্ধনের দিন সোনারপুরের শম্পা মাহাতো তৈরি থাকে ভাইদের জন্য। ভাইদের হাতে রাখি বেঁধে তাদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যেন এক অন্য রকম দায়িত্ব শম্পার। ৭ বছরের পুলিশের চাকরিতে প্রথম বছর ছন্দপতন হল শম্পার। প্রতি বছর ডিউটির শুরু অথবা শেষে সোনারপুরের ২ ভাইদের কাছে যাওয়া চাই। প্রতি বছর কালীপ্রসন্ন ও দেবব্রত অপেক্ষা করে তাদের দিদির জন্য। কাজের চাপে দিদির মাঝে মধ্যে দেরি হলেও বিশ্বাস দিদি আসবেই। এই বছর রাখি পূর্ণিমা এলেও দিদি যে তাদের সামনে রাখি নিয়ে আসবে না তা জানা ছিল কালীপ্রসন্ন ও দেবব্রত-র। দুপুরে যেন হটাৎ এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন দুই ভাই।
সামাজিক দুরত্ব মেনে দিদি এল হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে। প্রথমে দুই ভাইয়ের বিশ্বাস না হলেও তাদের জন্য পুলিশ দিদি রাখি কিনে দেখালেন রাখি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে যখন দিদির মন খারাপ ভাইদের জন্য, তখন সেই দিদি হাজির প্রযুক্তির হাত ধরে ভার্চুয়ালে রাখি নিয়ে। লেক থানার কনস্টেবল শম্পা মাহাতো জানালেন, 'সকাল থেকেই মন খারাপ ছিল, ভাইদের সঙ্গে দেখা হল না। যাক, ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখা হল। ওদের জন্য পছন্দের রাখিও কেনা ছিল'। করোনা ভাইরাসের দৌলতে এবার শহর কলকাতা সাক্ষী থাকল করোনা যোদ্ধার ভার্চুয়াল রাখি বন্ধনের।