#বারাসত: দুর্গাপুজোর পর বারাসত শহরে গড়ে আক্রান্ত ছিল বারো জনের মত। কিন্তু কালীপুজোর পর শহরের করোনার সংক্রমনের গ্রাফ উর্দ্ধমুখি। মূলত জেলা সদর শহরে প্রতিদিন করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন গড়ে চল্লিশ জন। অন্তত পুরসভার তথ্য সেই কথা বলছে। শহরে বাড়তে থাকা করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি বারাসত পুরসভায় এলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারীক তাপস রায় ও অন্যান্য স্বাস্থ্য অধিকারীক। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে শহরের হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তদের আরও বেশী চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যে নিয়ে আসা হবে।
এর জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও চিকিৎসকদের সংগঠন আই এম এ যৌথ ভাবে নজরদারি চালাবে। টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেবে আই এম এর সদস্যভুক্ত পারিবারিক ও পাড়ার চিকিৎসকরা। এদিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় জানান জেলায় গড়ে আটোশর কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এক কোটি দশ লাখ জন সংখ্যার জেলায় প্রতিদিন এই পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মানতে নারাজ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তাঁর দাবি জেলায় সুস্থতার হার যথেষ্ট ভাল।
বর্তমানে জেলায় ২৭ টা সেফ হোম রয়েছে। সেখানে মানুষ আসছে কম।ফলে করোনা আক্রান্ত মানুষ বাড়িতে থাকাকালীন বহু ক্ষেত্রে মানছেন না হোম আইসোলেশনে থাকার নিয়ম। বলে মত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারীকের। তাঁর দাবি জেলার সেফ হোমগুলির পরিকাঠামো যথেষ্ট ভাল।সেখানে থাকা কালীন করোনা আক্রান্ত রুগীর অবস্থা খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহজ হয়। তাই সেফ হোমে আরও বেশি মানুষ আসুক চান তাঁরা।
বারাসত পৌরসভা প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় এদিন জানান তাঁরা বৈঠকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকে বেসরকারি ল্যাবের রিপোর্ট সঠিক সময় না পাঠানোর অভিযোগ তোলোন। পৌর প্রশাসকের দাবি শহরের বহু মানুষ বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে করোনার পরীক্ষা করার পর পজিটিভ হলেও স্রেফ চেপে যাচ্ছেন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য। আর ল্যাবগুলি সেই তথ্য স্বাস্থ্য দফচরকে সঠিক সময় জানাচ্ছে না। ফলে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা থেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। ফলে শহরে বাড়ছে করোনা। তারপর শহরের একদল মানুষ সাহসী হয়ে উঠেছেন। ব্যবহার করছেন না মাস্ক। থুথনীতে মাস্ক বেঁধে দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে জেলায় বাড়ছে করোনা, দাবি বারাসতের পুর প্রশাসকের।