#নয়াদিল্লি: দিল্লিতে প্রতিদিনই চার হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। দেশের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম খোদ রাজধানী। সংক্রমণ কমাতে রাজধানীতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। মোবাইল ভ্যানে টেস্টিংয়ের পাশপাশি, রাস্তায় রাস্তায় অক্সিমিটার বসানো, মাস্ক ব্যাঙ্কের সুবিধা দেওয়া সব জারি। কিন্তু তাতেও সে ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না সংক্রমণ। যা কমাতে গেলে টেস্টিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর টেস্টিং যাতে আরও বাড়ে, সে দিকেই এক নতুন পদক্ষেপ করল কেজরিওয়াল সরকার। টেস্টিং যাতে বেশি হয়, আর্থিক অবস্থা যাঁদের ভাল নয়, তাঁরাও যাতে টেস্টিং করাতে পারেন প্রাইভেট ল্যাব থেকে, তার ব্যবস্থা করল সরকার। কমিয়ে দেওয়া হল RT-PCR (Real-Time Polymerase Chain Reaction) টেস্টের খরচ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি নতুন নির্দেশিকায় ল্যাবগুলিকে RT-PCR টেস্টের দাম কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগে এই টেস্টের দাম ছিল ২৪০০ টাকা। যা কমে দাঁড়াল ৮০০ টাকা। বাড়ি থেকে এসে স্যাম্পেল নিয়ে গেলে লাগবে ১২০০ টাকা। জানা গিয়েছে, এই টেস্টের দাম কমানোর পরই ৩৭২৬টি নতুন করোনা-আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে রাজধানীতে।
করোনা সংক্রমণ নির্ধারণ করতে গেলে প্রয়োজন টেস্টিং। কারণ উপসর্গহীন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আর তাঁদের অজান্তেই তাঁদের থেকে সব চেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেই কারণেই টেস্টিংয়ের পরিমাণ বাড়লে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়। যার ফলে প্রত্যেকটি রাজ্যেই একাধিক জায়গায় সরকারি ভাবে টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি বেশিরভাগ জায়গায়ই টেস্টিংয়ের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। ফলে যাঁরা খুব অসুস্থ বা বয়স্ক, লাইনে দাঁড়াতে পারবেন না, তাঁরা সাধারণত প্রাইভেট ল্যাব থেকে টেস্ট করিয়ে নেন। বা রিপোর্ট তাড়াতাড়ি পাওয়ার জন্যও প্রাইভেট ল্যাবকে বেছে নিতে হয়। কিন্তু সকলের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হয় না। প্রাইভেট ল্যাবের খরচ বহন করা সম্ভব নয় অনেকের পক্ষেই। সে কারণে অনেকে আবার টেস্টিংই করেন না। এই সব সমস্যা এড়িয়ে যেতেই করোনাভাইরাসের সব চেয়ে কার্যকরী টেস্টিং RT-PCR-এর খরচ কমানো হল রাজধানীতে।
দিল্লিতে এই মুহূর্তে লাল প্যাথ ল্যাব, ড. ড্যাংস ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস অফ ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হসপিটাল, ম্যাক্স ল্যাবস, স্টারলিং অ্যাকিউরিস ডায়াগনস্টিক, জেনেস্ট্রিংস ডায়াগনস্টিক সেন্টার-সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ল্যাবে টেস্টিং চলছে। এ ছাড়াও দিল্লির সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন টেস্টিং সেন্টারেও টেস্টিং চলছে। সে ক্ষেত্রে কোনও টাকা লাগছে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus