#কলকাতা: মার্চ মাসের শেষে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার পর আচমকাই বেড়ে যায় আলুর দাম। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, বাজারে আলুর কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়েছিল। তবে সেই সমস্যা ছিল সাময়িক। কিছুদিনের মধ্যেই ফের স্বাভাবিক হয়ে যায় আলুর দর। খুচরো বাজারে আলুর মূল্য নেমে আসে ১৪ - ১৫ টাকা প্রতি কেজিতে।
কিন্তু ফের বাড়তে শুরু করেছে আলুর দাম! চিন্তার ভাঁজ বাঙালির কপালে! সোমবার কলকাতার মানিকতলা বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ছিল ৩০ টাকা প্রতি কেজি। চন্দ্রমুখি আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩২ টাকা কেজি দরে। পোখরাজ আলুর দাম ছিল ৩০ টাকা প্রতি কেজি। ব্যবসায়ীদের দাবি, গত ১৫ দিনে আলুর দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের মতে, আগামিদিনে নাকি আলুর দাম আরও বাড়বে!
বাঙালির নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে পড়ে আলু। সেক্ষেত্রে আলুর দাম বাড়াতে পকেটে টান পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত বাঙালির। মানিকতলা বাজারের এক ক্রেতা সুশান্ত সাহা জানান, '' আলুর দাম শুনে চোখ কপালে উঠেছে! এক কেজির বদলে হাফ কেজি আলু কিনেই বাড়ি ফিরছি।'' পোস্তা বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতাদের দাবি, প্রতিদিনই কোনও এক অজানা কারণে আলুর দাম বস্তা প্রতি বাড়ছে ৪০-৫০ টাকা (এক বস্তায় ৫০ কেজি আলু থাকে)। সোমবার সকালে জ্যোতি আলুর দাম ছিল বস্তাপ্রতি ১১৭০ - ১২৫০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও একই মত, আলুর দাম নাকি আরও বাড়তে পারে।
কিন্তু কেন এমন লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে আলুর দাম ? আলু বিক্রেতাদের মতে, গত মরশুমে আলুর ফলন খুব একটা ভাল হয়নি। এদিকে লকডাউনে মানুষ অতিরিক্ত আলু খেয়েছেন এবং দান করেছেন। ফলে বাজারে আলুর কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে অন্যান্য সবজির অগ্নিমূল্য, ফলে মানুষ বাধ্য হয়েই বেশি পরিমাণে আলু কিনছেন। যে-সব রাজ্যে আলুর ফলন হয় না, সেইসব রাজ্যে বাংলা থেকে আলু রফতানি হয়। প্রচুর পরিমাণ আলু গিয়েছে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও অসমে। একইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, আলুর হিমঘরগুলি কম পরিমাণে আলু বাজারে বের করছে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই অভাব তৈরি হয়েছে আলুর, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম এবং মুনাফা লুটছে হিমঘরের মালিকরা। আলু ব্যবসায়ীদের মতে, খুব শীঘ্রই হয়তো খুচরো বাজারে আলুর দাম পৌঁছবে ৪০-৫০ টাকা প্রতি কেজিতে।
SHANKU SANTRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Potato