হোম /খবর /কলকাতা /
কলেজস্ট্রিটের অস্থায়ী কর্মী ও হকারদের জন্য ফান্ড গড়লেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা

Coronavirus Lockdown: কলেজস্ট্রিটের অস্থায়ী কর্মী ও হকারদের জন্য ফান্ড গড়লেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা

File Photo

File Photo

এই সব কর্মী-হকারদের জন্যই লকডাউনে একজোট হয়েছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা:সারা বছর ওরা একে অন্যের লাইফলাইন। এক জন জিনিস বিক্রি করেন। আর অন্যেরা তা কিনে নেন। বছরের পর বছর ধরে বয়ে চলা এই সম্পর্কের গভীরতা যে কখন আত্মীয়তায় পাল্টে গিয়েছে, তা এই লকডাউন না হলে টেরই পাওয়া যেত না।

এক দল হলেন কলেজ স্ট্রিট চত্বরের হকার। কেউ বিক্রি করেন ঝালমুড়ি, কেউ চা, কেউ বা বাদাম কিংবা ফুটকড়াই। জমিয়ে আড্ডা কিংবা ক্লাসের ফাঁকে অথবা মিছিলে-মিটিঙে এই সব চা-টাই অক্সিজেন জোগায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। কিন্তু লকডাউনে সবই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়ারাও এখন ঘরবন্দি। হকাররাও বিক্রিবাটা নেই বলে ফিরে গিয়েছেন যে যার বাড়িতে। কিন্তু লকডাউনের একাকীত্বের মধ্যেও হকারদের এই সান্নিধ্য ভোলেননি পড়ুয়ারা। তা-ই বাড়ি বসেই এমন লকডাউনের সময়ে দিন আনি দিন খাই হকারেরা কী ভাবে দিন গুজরান করবে, এই ভেবে ঘুম ছুটেছে পড়ুয়াদের।।আর এঁদের সঙ্গে একই ভাবে লকডাউনে কাজ-হারা হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী।

এই সব কর্মী-হকারদের জন্যই লকডাউনে একজোট হয়েছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। তাঁরা প্রায় 120 জন মিলে টাকা দিয়ে একটি তহবিল গড়ে তুলেছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওই সব মানুষদের ব্যাঙ্ক অক্যাউন্টে এক হাজার টাকা করে ফেলে দিচ্ছেন পড়ুয়ারা।

প্রেসিডেন্সি কলেজের পড়ুয়া সুচেতনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা নিজেরাই এই টাকা তুলে দিচ্ছি এবং ইচ্ছে আছে লকডাউনের শেষ অবধি এই অর্থসাহায্য চালিয়ে যাওয়ার।" আর সন্তানের বয়েসি ছেলেময়েদের কাছ থেকে এমন সাহায্য পেয়ে আপ্লুত হকার ও অস্থায়ী কর্মীরা। এক হকারের কথায়, "ওরাও আমাদের সঙ্গে খুবই মেলামেশা করে। অনেক হাসি-ঠাট্টাও চলে। কিন্ত ওরা যে আমাদের পরমাত্মীয়, তা লকডাউন না হলে সত্যি বুঝতে পারতাম না।"

Shalini Datta

Published by:Elina Datta
First published:

Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, COVID-19