#নয়াদিল্লি: দেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। লকডাউনেও কোভিড-১৯ এর ছড়িয়ে পড়া রোখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। আলোচনায় উঠে এল বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগামী দিনে্ লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি হবে়, লকডাউন মিটলেও কোন কোন বিধিনিষেধ আরোপিত থাকবে-এই সমস্ত বিষয়েই ঐক্যমতে পৌঁছল রাজ্য়গুলি।
এ দিন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কিছুক্ষণ আগেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করেন কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধী। তিনি চিকিৎসা পরিকাঠামোর দুর্বলতার প্রসঙ্গ তোলেন। মোদির কনফারেন্সেও অগ্রাধিকার পেল পরিকাঠামো। প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ খুব জরুরি। রোগী শনাক্তকরণ, সাম্ভব্য আক্রান্তকে আইসোলেশনে পাঠানোর কাজগুলি দৃঢ়তার সঙ্গে করতে হবে। একই সঙ্গে নজর রাখতে হবে যাতে ওষুধের জোগানে কোনও ঘাটতি না দেখা যায়। করোনা চিকিৎসার হাসপাতালগুলিতে যাতে কোনও রকম আসন ও চিকিৎসক সংক্রান্ত সমস্যা না হয় তাও দেখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক রাখতে প্রয়োজনে আয়ুষ-চিকিৎসকদের সাহায্য নিতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এনএসএস, এনসিসি-এর ছেলেমেয়েদের কাজে লাগানো যেতে পারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুষ বিধি প্রচারের জন্যেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করেন প্রধামন্ত্রী।
এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও নিজেদের অসুবিধের কথা জানান। পরিকাঠামো ও আর্থিক অনুদান নিয়েও কয়েক প্রস্থ আলোচনা হয়। উঠে আসে নিজামুদ্দিন প্রসঙ্গও। মোদির পরামর্শ এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন। বাড়়তি দ্বায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যের প্রশাসনকে। জনতা কার্ফু জারি থাকা চাই যে কোনও শর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৈরি করতে হবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আগামী সপ্তাহগুলিতে সবার আগে হটস্পট চিহ্নিত করার নিদান দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের বলেন, "মানুষের মৃত্যু রুখে দিতে হবে। সেই জন্যে জরুরি হটস্পট চিহ্নিত করা। রোগীস সংস্পর্শে থাকা মানুষদের দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া" এর পাশাপাশি গরীবকল্যাণ প্রকল্পটির বাস্তবায়নেও জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই রাস্তায় মানুষের ভিড় কমবে।
লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু লকডাউন পর্ব সমাপ্ত হতেই কি অবাধ মেলামেশা করা যাবে? উঠে আসে এই প্রশ্ন। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর মত, নিয়ম প্রণয়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়ী ঐক্য চাই। রাজ্য কেন্দ্রকে একই নিয়ম বলবৎ করতে হবে। কী ভাবে ধাপে ধাপে লকডাউন ওঠানো যায়, সে ব্যাপারে রাজ্যগুলির মতামতও চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গ্রামীণ ভারতকে করোনার হাত থেকে বাঁচানোটাও চ্যালেঞ্জ। শস্য তোলার মরশুমে যাতে কোনও ভাবেই এপিএমসি ব্যবহৃত না হয়, সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় থাকে, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus