#কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে এখন পাল্টেছে পুরো লাইফস্টাইল। সংক্রমণ এড়াতে নানা রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। লকডাউন পর্বে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। আনলক পর্বে ফের তা ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। অনেকেই টানা সাত-আট মাস বাড়ি যাননি, পড়ে আছেন কর্মক্ষেত্রে। এই অবস্থায় নতুন করে ট্রেনে সফর করতে হলে খেয়াল রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়।
সফর করার আগে খেয়াল রাখতে হবে:
১. ট্রেন ছাড়ার সময় আগে থেকে জেনে রাখুন। সময় থাকতে বাড়ি থেকে বেরোন, যাতে ভিড় এড়াতে পারেন।
২. ই-পাস নেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে তাই নিন, যাতে পদ্ধতিটি কন্ট্যাক্টলেস হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে দূরত্ববিধি মানার ঝামেলাও থাকবে না।
৩. মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডিজইনফেক্ট্যান্ট ওয়াইপ সঙ্গে রাখুন। বাড়তি কিছু মাস্ক সঙ্গে রাখবেন।
৪. গন্তব্যে বেরোনোর আগে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে মাস্ক পরে বেরোবেন। গন্ত্যব্যে পৌঁছনোর আগে আর মাস্ক খুলবেন না।
সফরকালে খেয়াল রাখার বিষয়:
১. কোনও সারফেস স্পর্শ করবেন না। টিকিট মেশিন, হ্যান্ডরেল, এলিভেটরের বোতাম, বেঞ্চ স্পর্শ করা থেকে দূরে থাকুন। আর একান্তই যদি করতে হয়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুয়ে নিন। ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে, এমন স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন।
২. অন্য যাত্রীদের থেকে ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। সম্ভব হলে পাশের যাত্রীর থেকে দু'টো আসন বাদ রেখে বসুন।
৩. ট্রেনের শৌচাগার ব্যবহার করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোবেন।
৪. নিজের জল নিজেই নিয়ে যাবেন। সহযাত্রীদের জল পান করবেন না। কিনতে হলে কন্ট্যাক্টলেস কেনাকাটায় যান। কার্ড না থাকলে খুচরো দিয়েই কিনুন।
৫. যেখানে-সেখানে থুতু ফেলবেন না খবরদার।
৬. মাঝে মাঝেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখবেন। সাবান ব্যবহার করলে অন্তত ২০ সেকেন্ড ঘষে ঘষে হাত ধোবেন। গরম পানীয় খেতে হলে নিজের পাত্র ব্যবহার করুন। গরম পানীয় থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না, তবে পাত্র থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
৭. সফরকাল লম্বা হলে মাস্ক বদলে পুরনো মাস্ক প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলে দেবেন।
৮. স্টেশনের কাফেটারিয়াতে ভিড় এড়িয়ে চলুন, স্ন্যাক্সজাতীয় খাবার বাইরে থেকে কিনে খাবেন না, নিজেই রান্না করা খাবার ক্যারি করুন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Train Journey