#রায়গঞ্জ: রেশনে চাল, গম এলেও আসে নি আটা।গ্রাহকদের আটা বাকি রেখে বরাদ্দকৃত চাল এবং গম দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের ব্যপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেশন ডিলার।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রেশন ডিলার দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।ডিলার দোকান বন্ধ করায় গ্রাহকরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।লকডাউনের নির্দেশ অমান্য করে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান।ঘটানাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি গ্রামে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান করনদিঘি থানার পুলিশ।উত্তেজিত গ্রামবাসদের শান্ত করে ডিলারকে দোকানে ফেরান পুলিশ।রেশন ডিলার বরাদ্দকৃত আটা পুনরায় দেবার লিখিত আশ্বাসের পর গ্রামবাসিরা শান্ত হন।
রেশনে বিনা পয়সায় দুই কেজি চাল,গম এবং আটা মিলে পাঁচ কেজি দেবার কথা ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার।কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি ৩৭ নম্বর রেশন দোকান আটা পৌছায় নি বলে দাবি করেছেন রেশন ডিলার সরোজ কুমার রায়।চাল এবং গম আসায় দুই কেজি চাল এবং দেড় কেজি আটা দেবার সিদ্ধান্ত নেয় রেশন ডিলার।আজ ভোর পাচটা ছয় টা থেকে রেশন গ্রাহকরা লকডাউনের নিদৃষ্ট নিয়ম নেনে লাইন দাঁড়ান।দীর্ঘক্ষন লাইনে না দাড়িয়ে ব্যাগ রেখে অন্যত্র বসে ছিলেন।রেশনের সামগ্রী দেওয়া শুরু হতেই সরকার বরাদ্দকৃত কম সামগ্রী পাওয়ার অভিযোগে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিলারকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা।
খবর পেয়ে তিনটি গ্রামের গ্রাহকরা সেখানে ভিড় জমান।লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রাহকরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ডিলার সরোজ কুমার রায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান।উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ করনদিঘি থানার পুলিশ পৌছান।সরকারি বরাদ্দকৃত সামগ্রী এলেই পূনরায় গ্রাহকদের লিখিত আশ্বাষ দেবার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।পুলিশের উপস্থিতিতেই রেশনে সামগ্রী দেওয়া শুরু হয়।উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মীনা জানিয়েছেন,রেশন খাদ্য সামগ্রী সরবরহে কোন রকম স্বল্পতা নেই।যদি কোন রেশন দোকান খাদ্য সামগ্রীর স্বল্পতার অভিযোগ করে গ্রাহকদের প্রতারনা করেন জেলা প্রশাসন কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবেন।
Uttam Paul
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, Coronavirus, করোনা ভাইরাস, রেশন