#শিলিগুড়ি: স্বস্তি মেলার লক্ষন নেই। প্রতিদিনই জেলায় বাড়ছে করোনার দাপট। পুরসভা, গ্রামীন এলাকা হোক বা পাহাড়ী পুরসভা বা প্রত্যন্ত গ্রামেও দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ন্যূনতম সাবধানতা না মানলে আর কি করা যায়! লকডাউনের সময়ে লকডাউন মানেনি যে শহর। আনলক ফোরে এসে কি আর সেই দৌড় থামানো যায়!
পারস্পরিক দূরত্ব বিধি দূরে থাক, মাস্ক পড়ার প্রবণতাও কমছে দিন দিন। বিশেষ করে পাড়ায় পাড়ায়। অথচ গ্রুপ করে আড্ডাটা হচ্ছে। শহরের ছবি এই যদি হয়, তাহলে গ্রামের দিকে পা না বাড়ানোই ভালো! হাটগুলিতে সেই উপচে পড়া ভিড়। শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটের অবস্থা ভয়ঙ্কর। শ্রমিকদের মুখ ঢাকেনি মাস্ক বা ফেস কভারে। অথচ এই মার্কেটেই ভিন রাজ্য, ভিন জেলার লোকেদের ভিড় লেগেই রয়েছে। পাহাড় থেকেও সবজি নিয়ে গাড়ি নামছে। মাস্ক পড়ার প্রবণতা বাড়াতেই হবে, বলছেন কোভিড জয়ী চিকিৎসক অনির্বান রায়। প্রতিদিনই তারা সচেতনতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উলটো ছবি ধরা পড়ছে! ভাবা হয়েছিল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কঠিন সময়। কিন্তু আরো অন্তত ২ মাস কঠিন সময়! বাড়তেও পারে। এখোনো টিকা বের হয়নি। তাই সাবধানতাই একমাত্র পথ। গত ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের গ্রামীন এলাকা এবং শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে নতুন করে ৯৪ জনের লালা রসের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ এসছে।
এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ জন। চার গ্রামীন ব্লকে নতুন করে আক্রান্ত ৩৯ জন। যার মধ্যে নকশালবাড়িতে ১৪ জন, ফাঁসিদেওয়ায় ১২ জন, মাটিগাড়ায় ১০ জন এবং খড়িবাড়িতে ৩ জন আক্রান্ত। আর পাহাড়ে সংক্রমিত ১৫ জন। শৈলশহরেই আক্রান্ত ৯ জন। সুখিয়াপোখরি এবং মিরিকে আক্রান্ত ২ জন করে, পুলবাজার ও মিরিকে ১ জন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যা ভাবাচ্ছে পাহাড়কে। অন্যদিকে এদিন শিলিগুড়ির দুই কোভিড হাসপাতাল এবং হোম আইশোলেশনে চিকিৎসা করিয়ে কোভিড জয় করেছেন ৩৮ জন। এদিকে নকশালবাড়ির এক বাসিন্দার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
Partha Sarkar