#কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সর্বদায় মুখে পড়ছেন মাস্ক আর সেই মাস্কে লেখা আছে 'লক-ডাউন'। এখানেই শেষ নয় মাস্কে আঁকা রয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রতিকৃতও। বাড়ি থেকে বেড়ানোর সময় মাথায় পড়ছেন হেলমেট। সঙ্গে হাতে গ্লাভস তো আছেই। পাতিপুকুরের স্বপন ঘোষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকতে এভাবেই সুরক্ষা বর্ম পড়ে বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন।পাশাপাশি আশেপাশের মানুষদের কেও এই সতর্ক অবলম্বন করে বলছেন স্বপন বাবু।
করোনা ভাইরাসের মহামারি রুখতে সরকার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে জনগণের জন্য। তারমধ্যে অন্যতম হলো বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মুখে মাস্ক পড়তেই হবে। পাশাপাশি লকডাউন সফল করতে বাড়িতে থাকতে হবে সকলকে। কিন্তু এই দুই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন অনেকেই। প্রশাসনের তরফে নরমে গরমে জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেও অনেক জায়গায় কাজ হচ্ছে না। সেই সব মানুষদের সচেতন করতেই স্বপন বাবুর এই ছোট্ট উদ্যোগ।
পাতিপুকুর মাছ বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন ঘোষ কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের 61 পল্লীতে বাসিন্দা। এখন মাছ বাজার বন্ধ। তবুও বিভিন্ন কাজে বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য বাড়ি থেকে বেরোতে হচ্ছে। বেড়োনোর সময় মুখে যে মাস্ক পড়ছেন তাতে লেখা লকডাউন। তার বক্তব্য, 'যেখানেই যায় লোকে মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। লকডাউন লিখেছি কারণ সামনে যে আছে সে লেখাটা দেখে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে।' 50 টাকা দিয়ে মাস্কটি পাড়ার দোকান থেকে কিনেছিলেন তিনি। তারপর ছেলের ছবি আঁকার রং তুলি দিয়ে লিখে ফেলেন 'লক-ডাউন'। আর তার নিচে আঁকেন করোনা ভাইরাসের প্রতিকৃতি।
গ্লাভস পড়া না হয় ঠিক আছে কিন্তু মাথায় হেলমেট পড়ে কেনো বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন?
স্বপন বাবু বলেন, 'শুনেছি করোনা ভাইরাস চোখ কান দিয়েও শরীরে প্রবেশ করে। মাস্ক দিয়ে নাক মুখ ঢাকা থাকলেও চোখ কান ঢাকা থাকছে না। তাই বাইক চালানো হেলমেটটা পড়ছি। আর চোখে সান গ্লাস পড়ছি।' শুধুমাত্র নিজেই এটা করছেন এমনটা নয়। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন সকলকেই এই সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলছেন স্বপন ঘোষ।
Soujan Mondal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Coronavirus, COVID-19, Home Lockdown, Lock Down, Stay Home