#চেন্নাই: শরীরিক অসুস্থতা কমানোর জন্য ছুটে যেতে হয়েছে দক্ষিণ ভারতে, চিকিৎসার পরেও পিছু ছাড়ল না মানষিক অস্থিরতা। কেউ ভুগছেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়,কেউ ভুগছেন অর্থোপেডিকসের সমস্যা, কারোর বছরে দু-তিন বার আসতেই হয় চিকিৎসায়। অভিজ্ঞতা নতুন বা পুরানো যাই হোক লকডাউনে সবাই হোটেলবন্দি।
সরকারি তরফে বারবার জানানো হচ্ছে সুস্থ থাকুন, ঘরে থাকুন। তাদের ঘর থাকলেও এখন যাওয়ার উপায় নেই প্রায় ৩০০ জনের। কলকাতার বাঁশদ্রোনির বাসিন্দা শম্পা রায় মার্চ মাসের ১৬ তারিখ পরিবার নিয়ে চলে যান ভেলোরে। পরের দিন থেকে চিকিৎসার শুরু হলেও বাড়ি যাবার অনুমতি পান মার্চের ২৪ তারিখ। তখন শুরু হয়েছে লকডাউন, যাবার উপায় নেই দেখে হোটেলের ব্যবস্থা হলেও রোজের খাবার জুটছে না বলে অভিযোগ শম্পার। একটি ঘরেই থাকছেন চারজন, দেওয়া হচ্ছে দুইজনের খাবার, অনেক সময় তা একজনের ও আসছে।
হোটেলে জানতে চাইলে কর্মী সমস্যার কথা বলা হয়েছে। অগত্যা প্রায় ৩০০ জনের বর্তমানে খাদ্য সঙ্কট। জমানো টাকাও প্রায় শেষ, কি করে বাকি দিন চলবে সেই চিন্তা এখন শারীরিক চিন্তার থেকেও বড়। রেখা দাস তার জমানো চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে এলেও চিকিৎসায় তা শেষ পরিচিত বন্ধুর থেকেই টাকা ধার নিয়ে চলছে রোজের হিসাব। অনেকেই আবার হেটেলের খাবারের উপর নির্ভর না করে বাজারে যাচ্ছেন, সেখানোও লকডাউন উপেক্ষা করার ভয় তাদের পিছু ছাড়ছে না। পর্যাপ্ত খাবারের সন্ধানে বাজারের গেলেও প্রচুর দামের ফলে মিলছে না খাদ্য সামগ্রী। এই সমস্ত সমস্যার কথা শম্পা রাজ্য সরকারের জানালেও এখনো তার উত্তরের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন শম্পা। এদিকে হোটেলে আটকে থাকা প্রায় শিশুর সংখ্যাও কম নয়, তাদের খাবার নিয়েও শুরু হয়েছে চিন্তা অভিভাবকদের। এদিকে রোজের হোটেল ভাড়ায় কার্যত ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা সবারই।
Susovan Bhattacharjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Lock Down