#পূর্ব মেদিনীপুর: করোনার উপসর্গ ছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, বৃদ্ধ করোনা পজিটিভ। অভিযোগ, কোভিড হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা মেলেনি। চিকিৎসা নিয়ে টানাপোড়েনে অ্যাম্বুল্যান্সে পড়ে থেকে মৃত্যু হল পাঁশকুড়ার রোগীর। মৃত্যুর পরেও কাগজে কলমে করোনা রিপোর্ট না আসায় সৎকার নিয়ে সমস্যায় পরিবার। রোগী পরিবারের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কয়েকদিন ধরে জ্বর-শ্বাসকষ্ট। পাঁশকুড়ার গোগ্রাস গ্রামের পঁয়ষট্টি বছরের অসুস্থ ব্যক্তিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। হাসপাতাল থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয় বৃদ্ধ করোনা পজিটিভ। এরপরই হয়রানির চূড়ান্ত। হাসপাতালে হাসপাতালে বৃদ্ধকে নিয়ে ঘুরল পরিবার। চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে পড়ে থেকে মারাই গেলেন বৃদ্ধ।
রোগী পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল নমুনা নিলেও রিপোর্ট দেয়নি। হাসপাতাল মৌখিকভাবে জানায়, রোগী করোনা পজিটিভ। কিন্তু কোনও কাগজ দেয়নি। এরপর বড়মা কোভিড হাসপাতালে বৃদ্ধকে নিয়ে যায় পরিবার। সেখান থেকে জানানো হয়, আইসিইউতে বেড খালি নেই।
পরিবারের দাবি, চণ্ডীপুরে চিকিৎসার জন্য রোগীকে নিয়ে যেতে বলা হয়। বড়মা হাসপাতালের সামনেই অ্যাম্বুল্যান্সে পড়ে থেকে মারা যান বৃদ্ধ। বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেও আরেক সমস্যা। করোনা রিপোর্টের কোনও নথি না থাকায় সৎকার নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। জেলাপ্রশাসন অবশ্য রোগী পরিবারের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন।
রোগী পরিবারের প্রশ্ন, কেন রিপোর্ট আসার আগেই বড়মা কোভিড হাসপাতালে পাঠাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল? কেন বড়মা হাসপাতাল ফিরিয়ে দিল? সময়মতো চিকিৎসা হলে হয়ত বৃদ্ধের প্রাণটা যেত না।
Sujit Bhowmik
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus