#কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার ও আগামিকাল, শুক্রবার রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন। যদিও অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়, রেল পরিষেবা চালু না বন্ধ। চলতি মাসের লকডাউনের দিন ক্ষণ একাধিকবার বদল হয়েছে। আর সেই কারণে অনেকের কাছেই ব্যপারটা পরিষ্কার নয়। সে কারণেই হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশনের বাইরে এদিনও অপেক্ষা করতে দেখা গেল একাধিক যাত্রীদের। যদিও রেলের তরফ থেকে ট্রেন বাতিল হওয়ার এসএমএস পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু যাত্রীরা স্টেশনের বাইরে এসেই অপেক্ষা করছেন।
কারও ট্রেন ছাড়বে শনিবার সকালে তো কারও আবার ট্রেন ছাড়বে শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে। আর যাত্রীরা স্টেশনে এসে পৌঁছে গেলেন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায়। কেউ কেউ আবার এলেন সকাল ৮ টার মধ্যে, সৌজন্যে লকডাউন। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের যাওয়ার জন্য এখন ভরসা শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ার এসি এক্সপ্রেস। এই স্পেশাল ট্রেন একমাত্র ভরসা হওয়ার কারণে যাত্রীদের চাপ রয়েছে সব চেয়ে বেশি।
নিয়মানুযায়ী ট্রেন ছাড়ার দু'ঘন্টা আগে স্টেশনের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় যাত্রীদের। যেহেতু বৃহস্পতি ও শুক্রবার লকডাউন, তাই রাস্তায় মিলছে না কোনও বাস, অটো বা ট্যাক্সি। ফলে স্টেশনে পৌঁছনো যাবে কিনা তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়েছিল। ফলে কেউ আর সময় নষ্ট না করে ভোরবেলা গাড়ি ভাড়া করে স্টেশনে চলে এসেছেন। কেউ কেউ আবার পায়ে হেঁটে এসেছেন শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনে। যদিও স্টেশনে তাঁদের ঢুকতে দিল না আরপিএফ। বাইরে খোলা আকাশের নীচেই প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই ব্যাগ পত্তর, কেউ কেউ আবার বাচ্চাদের নিয়ে বসে থাকলেন।
কাজের সূত্রে পাথরপ্রতিমায় থাকেন দিলীপ দত্ত। বাড়ি শিলিগুড়ি। তিনি জানাচ্ছেন, "প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের ওখানে। আবার কাল থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে আমাকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আজ ওখানে থেকে আসার মতো কিছুই পাবনা জানি, পাব বলেও মনে হচ্ছিল না। আমি তাই পায়ে হেঁটে আবার কিছুটা ভ্যান ও টেম্পোতে উঠে চলে এসেছি। ভোর ভোর চলে এলাম। পুলিশ দু'জায়গায় আটকেছিল। আমি রেলের টিকিট দেখানোয় আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।"
কিন্তু আগামিকাল, শুক্রবারও তো ট্রেন বন্ধ। ফলে তাঁরা কি করবেন সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে, পুরুলিয়ার নিত্যানন্দ সাহার। তিনি জানাচ্ছেন, "একটা গাড়িকে ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম। যদিও রুবি থেকে শিয়ালদহ ছেড়ে দিয়ে যাওয়া গাড়ি ২৭০০ টাকা নিয়েছে।" কমবেশি একই অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের। অনেকে অবশ্য আর পি এফ'কে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের যদি স্টেশনে ঢুকে বসতে দেওয়া হয়। যদিও সেই অনুমতি দেয়নি রেল রক্ষী বাহিনী। ফলে ভোর থেকে খোলা আকাশের নীচেই বসে থাকতে হল যাত্রীদের। এদিন অবশ্য সকাল থেকে কড়া ছিল স্টেশন এলাকার নজরদারির ছবি। রেলের বক্তব্য, ট্রেন বাতিলের খবর একাধিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। পর পর দু'দিন লকডাউন। এর পরেও যদি কিছু লোক ট্রেন ধরতে স্টেশনে চলে আসেন সেটা রেলের দায় নয়।
আবীর ঘোষাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Sealdah Station