#বেজিং: বহু মানুষ ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ে। কিন্তু করোনা (Coronavirus) এখনও থেমে নেই। তার করাল গ্রাসে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। কী ভাবে এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং কোথা থেকে এই ভাইরাস এল, এই নিয়ে কোটি কোটি ডলার খরচ করে গবেষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গবেষকরা কোনও আশার আলো দেখাতে পারেননি। তাঁদের মনে হয়েছে যে এটা যেন একটা অন্ধ কুয়োর মতো যার কোনও শেষ নেই।
যদিও কোনও কোনও দেশে ভ্যাকসিন এসে গিয়েছে। অনেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেনও। তবে ভ্যাকসিন নিয়েও অনেকে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সেই নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় থেকে যাচ্ছে। অনেকেই এখন জানতে চাইছেন যে এই ভাইরাসের উৎস কী, যদি সেই মতো কিছু উপায় বের করা যায়!
এমআইটি টেকনোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে চিনের নির্বাচিত একদল আন্তর্জাতিক গবেষক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথ ভাবে এই ভাইরাসের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে। আপাতত গবেষকরা এইটুকু জানেন যে এই ভাইরাস পাওয়া যায় হর্সশু বাদুড়ে, যারা মানুষের উপরে লাফিয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে চিনের উহান শহরে এই ভাইরাসের হদিস মেলে এবং পরে সেটা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু যদি হর্সশু বাদুড় থেকে যদি এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেটা কী ভাবে সম্ভব, তা বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। কারণ এই বাদুড় হাজার হাজার মাইল দূরে গুহার মধ্যে থাকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই টিম এখন একটি প্রাথমিক রিপোর্টের খসড়া করছেন। যেখানে এই ভাইরাস কী ভাবে বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হল এবং উহানের অ্যানিম্যাল মার্কেট যেখানে এই বাদুড় বিক্রি হয় তার সঙ্গে পুরো বিষয়ের কী সম্পর্ক সেই নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।
চিনের পক্ষ থেকে প্রধান গবেষক লিয়াং ওয়ানিয়ান বলেছেন যে এখনও এই ভাইরাস ঠিক কী ভাবে ছড়িয়েছে অর্থাৎ প্রাথমিক ভাবে এর ধারক বা বাহক কে ছিল সেটা জানা যায়নি। তাই হয় তো বিশ্বের দরবারে এই ভাইরাস এক অজানা রহস্য হয়ে থেকে যাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China, Coronavirus, WHO