#বর্ধমান: এক আধিকারিকের করোনা ধরা পড়ায় এবার হোম আইসোলেশনে গেলেন কালনা মহকুমা শাসক-সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা। সেই সঙ্গে ওইসব কর্মী অফিসারদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।সেই সঙ্গে কালনার মহকুমা শাসকের অফিস ও তার আশপাশ জীবানুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিক আক্রান্ত হয়ে পড়ায় আতঙ্ক বেড়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের। এমনিতেই কালনা শহরে একটানা লকডাউন চলছে। বুধবার পর্যন্ত সেই লকডাউন আপাতত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন করে এই শহরে চারজনের দেহে করোনার সংক্রমণ মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে।
কালনায় নতুন করে যে চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন পরিবহণ দফতরের আধিকারিক। এছাড়া সিভিল ডিফেন্স বিভাগের এক কর্মীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কালনা মহকুমা শাসকের অফিসের নিচেই পরিবহন দফতর। এই ঘটনার জেরে কাটোয়ার মহকুমা শাসকের অফিস তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকাকে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে মহকুমা শাসকের অফিস কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মোহান্তি-সহ পঁচিশ জন আধিকারিক ও কর্মীকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তাদের আপাতত বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
এমনিতেই বর্ধমানের করোনা হাসপাতালে এখন আর জায়গা নাই বললেই চলে। নতুন করে আক্রান্ত উপসর্গহীন কিংবা কম উপসর্গ রয়েছে এমন পুরুষ মহিলাদের সেফ হোমে পাঠানো হচ্ছে। কালনা শহর ও তার আশপাশের এলাকায় নতুন করে আক্রান্তদের বর্ধমানে কালনা গেটের কাছে নির্মীয়মান কৃষি ভবনে তৈরি সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা পুরুষ মহিলাদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিন আগে কালনায় এক প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবহণ দফতরের ওই আধিকারিক হাজির ছিলেন। সেখানে মহকুমা শাসক, প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরাও ছিলেন। তাই ওই পরিবহণ আধিকারিকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে তাঁরা এসেছিলেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁদের হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, East Bardhaman